বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব বিএনপি নেতাকে আওয়ামীলীগ বানিয়ে জেলে পাঠালো পুলিশ!
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে এলাকায় চলছিল দু গ্রুপের দ্বন্দ্ব। এর মধ্যে একপক্ষ থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে বিএনপির অফিস পোড়ানো মামলায় সক্রিয় বিএনপির নেতাকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে পাঠিয়েছে জেলে।ঘটনাটি বরিশালের ৭ নং চরকাউয়া ইউনিয়নের। যাকে আওয়ামী লীগের কর্মী বানিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছ তার নাম সাখাওয়াত হোসেন মনির, তিনি বরিশাল সদর উপজেলা বাস্তুহারা দলের যুগ্ম আহবায়ক। ঘটনা গত১৬ এপ্রিলের। স্থানীয় সুত্র জানায়, বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া নয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান কর্তৃক সাখাওয়াত হোসেন মনিরকে মনোনীত সভাপতি হিসেবে চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় গত মার্চ মাসে। এতে মনিরের পতিপক্ষ ঐ এলাকার আওয়ামী লীগের দোসর ঢাকায় শেখ হেলালের ব্যাবসা দেখাশুনার দায়িত্বে নিয়োজিত নুরুল ইসলাম মৃধা এবল তার পুত্র সহ আরও কিছু কুচক্রী মহল ক্ষিপ্ত হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি গ্রুপকে ম্যানেজ করে বিএনপির অফিস পোড়ানো মামলায় সন্দেহভাজন আাসামী হিসেবে মনিরকে আটক করিয়ে আদালতে পাঠালে আদালত জামিন না মন্জুর করে কারাগারে প্রেরন করে। এ ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানায়।অন্যদিকে সাখাওয়াত হোসেন মনির কে আটক করিয়ে তরিঘরি করে তার প্রতিপক্ষ ঐ গ্রুপটি নয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে ম্যানেজ করে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড এ নতুন করে এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে ১ নং ব্যাক্তিকে বাদ দিয়ে ২ নং এ থাকা আওয়ামী লীগের নেতা নুরুল ইসলাম মৃদা পুত্রবধু পুর্নিমা বেগমকে মনোনিত করতে পত্র প্রেরন করে।পরে শিক্ষা বোর্ড সেইনুসারে ২ নং ব্যাক্তিকে মনোনীত করে।এ থেকেই বোঝা যায় আসলে বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ বাগিয়ে নিতে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে মনিরকে।এ বিষয়ে জানতে কথা বলা হয় নয়নী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মালেক খানের সাথে,তিনি জানান প্রথম যখন কমিটি হয়েছে তখন আওয়ামী লীগ বিএনপি একত্রে মিলেই এই নাম গুলো দিয়েছে সেখান থেকে মনির সাহেব সভাপতি হয়েছে।এখন তিনি আটক হয়ে কারাগারে আছেন, শুনেছি তিনি নাকি আওয়ামী লীগ করতেন এজন্য বিএনপি অফিস পোড়ানো মামলায় পুলিশ ধরছে এর বেশি আমি কিছু জানি না।
অন্যদিকে আটক মনিরের পক্ষে
প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বিএনপি অফিস পোড়ানো মামলার বাদী ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক। একই সাথে তিনি মনিরের মুক্তি চেয়েছেন।একাধিক বিএনপির নেতারা জানান,৫ আগষ্টের এতবড় একটা ঘটনার পরও পুলিশ এখনো ঠিক হয়নি।তারা অর্থের কাছে বিকিয়ে বিএনপির কর্মীকে আওয়ামী লীগের লোক বানিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না।কেউ অভিযোগ দিলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।।
Post Comment