ভূমিকম্পে বিসিসির ছাদে ফাটল: ভেঙ্গে পড়েছে পলেস্তারা, আতঙ্কে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
দেশে গত সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এরমধ্যে শনিবার সকালে একবার ও সন্ধ্যায় পরপর দুবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর আগে গত শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সারাদেশ।
ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে নরসিংদীতে। ঢাকায় ৪জন ও নারায়ণগঞ্জে একজন মারা যায়। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ ছাড়া কিছু ভবন হেলে পড়ে ও ফাটল দেখা দেয়। বরিশাল বিভাগে হতাহত না হলেও আতংকের ছাপ রেখে গেছে। যার প্রমান বরিশাল নগর ভবন। শুক্র ও শনিবার অফিস বন্ধ থাকায় ক্ষতির বিষয়টি টের পাওয়া না গেলেও রোববার অফিস খোলার দিন ভূমিকম্পের রেখে যাওয়া চিহৃ দেখে আঁতকে ওঠেন বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভবনের ২০৫ নম্বর কক্ষ যেখানে সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলীরা বসেন সেখানে গতকাল ঢুকতেই চোখ কপালে ওঠে। কক্ষের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এছাড়া খসে পড়েছে পলেস্তারা। শুধু তাই নগর ভবনের বিভিন্ন স্থানেই ফাটল লক্ষ করা গেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা। তারা জানান, এখন রীতিমত অফিসে বসতে তাদের ভয় কাজ করছে। কারণ যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। বর্তমানে এ ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পৌরসভা আমলে নির্মান করা এ ভবনে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশ্ন উঠেছে যারা নগরবাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকে তাদেরই যদি নিরাপত্তা না থাকে? শুধু সিটি কর্পোরেশনই নয় নগরীর অনেক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত সেইসব ভবন অপসারণের কোন ব্যবস্থা নেয়নি বিসিসি কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি নগরীর একটি ভবন ভেঙ্গে দেওয়া হয় যা ছিলো লোক দেখানো মাত্র। পোর্টরোডে অবস্থিত পুরনো ৭তলা একটি ভবন ২৫ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো কিন্তু সেই ভবনটিও অপসারণ করা হয়নি। ফলে গত শুক্রবারের চেয়ে একটু বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে বরিশালের অনেক ভবনই ধ্বসে পড়ার শঙ্কা আছে। এ জন্য সময় থাকতে এখনই ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবন অপসারণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।



Post Comment