Loading Now

মৎস্য বিভাগের স্পিডবোটের সঙ্গে নৌকার সংঘর্ষ, জেলের মৃত্যু

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় মৎস্য বিভাগের স্পীডবোটের সঙ্গে মাছ ধরা ট্রলারের সংঘর্ষে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়াও ঐ মাছ ধরার ট্রলারে থাকা মধু কামাল নাম জেলেসহ একাধিক জেলেকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ।

উপজেলার শ্রীপুর এলাকায় কালাবদর নদীতে সোমবার (৩মার্চ) বিকালে ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এনামুল হক।

নিহত জেলে মিরাজ ফকির (৩০) মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন মিয়ার চর এলাকার বাসিন্দা ফখরুল ফকিরের ছেলে ও দুই সন্তানের বাবা।

গুরুতর আহত জেলে মোঃ মধু কামাল বলে কালা বদর নদীতে চারটি মাছ ধরার ট্রলার ছিলো। তিনটি কিনারে চলে যায়,একটির মেশিন নষ্ট হওয়ায় তাকে মৎস্য কর্মকর্তারা আটক করে মারধর করেন। আমরা বিষয়টি উপর থেকে দেখে মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে যাই। এ সময় মৎস্য কর্মকর্তা রিপন আমাদেরকে আটকিয়ে মারধর করে। পরবর্তীতে আমাদের কালা বদর নদীতে ঘুরাতে থাকেন এবং আমাদের জেল জরিমানা করার ভয় দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমরা মৎস্য কর্মকর্তা রিপনের কাছে এক লক্ষ ১০ হাজার পাঁচশত টাকা ও দুইটি স্মার্টফোন একটু বাটন ফোন দিলে আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও আমাকে একটি জাল ফেরত দেয়।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য বিভাগের মেরিন ফিসারিজ অফিসার সুকান্ত কুমার রায় বলেন, মাছ শিকারের জন্য কালাবদর নদীর শ্রীপুর এলাকায় নিষিদ্ধ বাধা জাল ফেলেন জেলেরা। এ খবর পেয়ে মৎস্য বিভাগের আট সদস্যের একটি দল স্পীডবোট নিয়ে সেখানে অভিযানে যায়। নদী থেকে অবৈধ বাধা জাল তোলার সময় ৮-১০টি জেলে নৌকা হামলা করে। এ সময় একটি নৌকা এসে তাদের স্পিডবোটের উপর উঠিয়ে দেয়। তখন নৌকা থেকে একজন নদীতে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুনেছি, ওই জেলের মৃত্যু হয়েছে।

জেলেদের পক্ষ থেকে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি দাবি করে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলে সোহাগ বলেন, অভিযান চালিয়ে নিহত মিরাজের ছোট ভাই রবিউলকে আটক করে অভিযানকারী দল। এ খবর পেয়ে একটি নৌকায় চার পাঁচ জন জেলেকে নিয়ে রবিউলকে ছাড়িয়ে আনতে যায় নিহত মিরাজ। তখন অভিযানকারী দলের থেমে থাকা স্পীডবোটটি দ্রুতগতিতে চালু করে নৌকায় উঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে মিরাজ গুরুতর আহত হলে চিকিৎসা না দিয়ে বোটে ফেলে রাখা হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিলে মারা যান মিরাজ।

নিহত মিরাজের স্ত্রী রোজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিত। তাকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলে আমার দুই সন্তানকে এতিম করা হল।

মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এনামুল হক বলেন, স্পীডবোট ও জেলে নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে নৌ-পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED