রোদেলাকে ভালোবেসে প্রাণ দিল ১০ শ্রেণির ছাএ আরমানকে
পটুয়াখালী প্রতিনিধি ।।
একাধিক ছেলেতে আসক্ত স্কুলছাত্রীকে ভালোবেসে খেসারত হিসেবে প্রাণ দিতে হয়েছে পটুয়াখালীর গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমরানকে। একই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রোদেলা দীর্ঘদিনের হৃদয়ঘটিত সম্পর্কে অস্বীকার করায় দু:খ, কষ্টে গত ৩০ আগস্ট আরমান গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ছেলের মৃত্যু এবং দাফনের অন্তত সপ্তাহখানেক পরে শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) মিডিয়ার সামনে এসে মা সাবেরা সুলতানা লিয়া এমন তথ্য দিয়েছেন।
তার অভিযোগ, তার ছেলের সাথে প্রেমের নামে প্রতারণা করেছে গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রোদেলা। ছেলে তার প্রেমিকা একাধিক পুরুষে আসক্ত থাকার বিষয়টি জানতে পারে এবং এগুলো পরিহার করার পরামর্শ দেয়। এনিয়ে গত ৩০ আগস্ট রাতে উভয়ের মধ্যেকার বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে রোদেলা ওই দিন থেকে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথা জানায়। এতে মনবল হারিয়ে স্বেচ্ছায় প্রাণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আরমান।
শুক্রবার (০৫ সেপ্টম্বর) গলাচিপা টেলিভিশন ফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরমানের মা জানান, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে তার ছেলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। আবার একই স্কুলের পড়ার সুবাদে তাদের মধ্যেকার অতি সহজেই যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। একপর্যায়ে তারা দুজন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু একাধিক পুরুষে আসক্ত রোদেলা গত ৩০ আগস্ট সেই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। এবং এও বলেছেন, ‘ব্রো’ তোমার সাথে আমার আজ থেকে কোনো সম্পর্ক নেই!
আরমানের মুঠোফোন ঘেটে এই চ্যাঞ্চল্যকার তথ্য-উপাত্ত্ব সামনে এসেছে বলে জানিয়েছেন তার মা লিয়া। তিনি জানান, আমার ছেলে ওই মেয়েকে বলে তোমার সাথে কথা না বললে আমি মরে যাবো। মেয়ে বলে তুই মরলে আমার কী? ওই আঘাত আমার ছেলে আমরান সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে মুঠোফোন সংযোগে রেখে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
ছেলের এই মৃত্যুর ঘটনায় স্কুলছাত্রীকে দায়ী করে তাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেওয়ার দাবি রাখেন সাবেরা সুলতানা। এবং স্কুলছাত্রীর প্ররোচনায় তার ছেলে আত্মহত্যা করেছে, এমন অভিযোগ এনে মামলাও করবেন বলে জানিয়েছেন।’
Post Comment