শর্টসার্কিটে বিদ্যুৎ বিপর্যয়,সদর রোডে ইন্টারনেট বন্ধ
বরিশাল নগরীর সদর রোডে শর্টসার্কিটে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে শুক্রবার সকাল থেকেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ। ৫ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এলেও থেমে থেমে চলছে লোডশেডিং। ফলে নগরীর বাণিজ্যিক এলাকার আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে নগরীর বিবির পুকুরপাড়ের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বিকাল পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হয়নি।
সকালে সড়কে জনসমাগম থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণের ৫ ঘণ্টা পর পর্যন্ত বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্রে সদর রোড, গির্জামহল্লা, কাঠপট্টি, বগুড়া রোডসহ আশপাশের একাধিক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠে।
এসব এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক এবং ৩২টি কোম্পানির আওতায় প্রায় ১০ হাজার ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পার্শ্ববর্তী একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে দুর্ঘটনা কবলিত খুঁটির বৈদ্যুতিক ও ইন্টারনেট তারে আগুন জ্বলে যায়। এ সময় কয়েকবার বিকট শব্দ হলে জনসাধারণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নগরীর প্যারারা রোডের ব্যবসায়ী মারুফ বলেন, লোডশেডিংয়ের ফলে দোকানের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না। এতে তার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান।
নগরীর এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। দ্রুত ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার দাবি জানান তিনি।
বরিশাল ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ ও বিতরণ বিভাগ-১ এর প্রকৌশলী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ইন্টারনেটের তারে প্রথমে আগুন লেগে যায়। সেই আগুনে বিদ্যুৎ বিভাগের বিপুল পরিমাণ তার পুড়ে যাওয়ায় প্রাণকেন্দ্রসহ কয়েকটি এলাকায় ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এখন বিকল্প সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইন্টারনেট সেবাদানকারী এক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বিকালে বলেন, ইন্টারসেবা সেবা স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগতে পারে তা বলা যাচ্ছে না। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে ইন্টারনেটের তার পুড়ে বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
Post Comment