সবজির দাম সেঞ্চুরির পথে,বেড়েছে মাংসের দামও
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগের সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংস ও সবজি। দুই-একটি ছাড়া সব সবজির কেজিই ১০০ থেকে ১২০ টাকা বা তারও বেশি। আবার চালের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ভারত থেকে আমদানি করায় কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমলেও এখনো এটি ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। অনেক জায়গায় সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ডিম ও সবজির দাম। ব্যবসায়ীর বলছেন, বন্যার কারণে উৎপাদন সংকটের কারণে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে কমছে না পণ্যের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। নিয়মিত বাজার তদারকির দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে বেড়েছে সব ধরনের মাংসের দাম। তবে মাছের বাজারদর কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
একই সময় বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বাড়তে দেখা গেছে। এ মুরগির দাম আগের সপ্তাহেও বেড়েছিল। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০৫ থেকে ২১৫ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে অস্বাভাবিকভাবে সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ২৭০-২৮০ টাকা ছিল।
মুরগির বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, হুট করেই সরবরাহ কমিয়ে মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে পাইকাররা। ওরা (পাইকারি বিক্রেতারা) জানিয়েছে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে মুরগির সরবরাহ কম।
মাইশা বেগম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, গত একমাসে সবকিছুর যে দর বেড়েছে, তাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এমনটা চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে আমাদের মত সাধারণ মানুষদের। সাধারণ জনগণের কথা কোন সরকারই ভাবে না, তারা নিজেরা নিজেদের আখের গুছাতেই ব্যস্ত থাকে। উৎপাদন বাড়ছে, তারপরও ঘাটতি দেখানো হচ্ছে৷ সমস্যা আসলে কোন জায়গায় তা খুঁজে বের করতে হবে।
এ নিয়ে একাধিক ক্রেতারা বলছেন, তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রয়োজনীয় সবজি কিনতে পারছেন না তারা। বাজার তদারকি নামমাত্র না করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তোলেন ক্রেতারা। তারা আরও বলেন, দোকানেও যে দাম ভ্রাম্যমান বিক্রেতাদের কাছেও সেই একই দাম। ভ্রাম্যমান বিক্রেতাদের দোকান ভাড়া লেবার খরচ কিছুই লাগে না। তারপরও তারা চড়া দামে বিক্রি করছে নিত্য পণ্য সামগ্রী। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া অতি জরুরী।
যদিও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, অভিযানের সময় আর বাজার জমে ওঠার সময় আলাদা হওয়ায় এর সুফল নেই।
যদিও খুচরা বিক্রেতা বলছেন, পাইকারিতে বাড়তি দরে কিনতে হয় বলে খুচরা বাজারেও বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করতে হয়। অতিরিক্ত মুনাফা করছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা আরও বলেন পাইকারি সিন্ডিকেট না ভাঙ্গা হলে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না।
Post Comment