Loading Now

সাবেক এমপি শাওন-পঙ্কজসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৩ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও পঙ্কজ নাথসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেছে দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে দায়ের করা এ ৩ মামলার অনুলিপি মঙ্গলবার দাখিল করা হয়েছে বরিশাল ও ভোলার আদালতে।

শাওনের মামলায় মোট ১৮ জনকে আসামি করার পাশাপাশি তৃতীয় মামলাটি দায়ের হয়েছে পঙ্কজ নাথের স্ত্রী মনিকা নাথের বিরুদ্ধে।

আদালত সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাবেক এই দুই এমপিসহ তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য অনুসন্ধানের নির্দেশ আসে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে।

নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) এবং পঙ্কজ নাথ বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনের এমপি ছিলেন।

শাওনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় আরও যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- লালমোহনের তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষ ও তজুমদ্দিনের তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর ১৫ জন সভাপতি। এই ১৫ জনের সবাই ছিলেন শাওনের নির্বাচনি এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য।

এদের বিরুদ্ধে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় বাস্তবায়নের তালিকায় থাকা ৩৫৬ প্রকল্পের মধ্যে ১১ প্রকল্পের কোন কাজ না করে ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

পঙ্কজ নাথের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় টেন্ডার চাঁদাবাজি বালু মহল ও ইলিশ মাছের ঘাট দখল, দলীয় পদ বাণিজ্য এবং জমি দখলের মাধ্যমে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৮ হাজার ৫৪৫ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ এনেছে দুদক। তার স্ত্রী মনিকা নাথের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। নিজের কোনো আয় না থাকলেও স্বামী পঙ্কজ নাথের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে মনিকা নাথ এই অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান।

মামলার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি বাদী কামরুজ্জামান। তবে দুদকের একটি সূত্র জানায়, আলোচ্য সাবেক এই দুই এমপির বিরুদ্ধে দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাধিক তদন্ত পরিচালনা করছে। কেন্দ্রীয়ভাবে তাদের অনেক অনিয়ম দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণও মিলেছে। সেসব ঘটনায় হয়তো আলাদা মামলা হবে। বরিশাল ও ভোলার আদালতে দায়ের হওয়া মামলা দুটির চূড়ান্ত তদন্ত কার্যক্রম খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে বলে জানান দুদকের ওই সূত্রটি।

তথ্য সূত্র: যুগান্তর,,,,,

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED