Loading Now

সেইল প্রকল্পের বিভাগীয় পর্যায়ে লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বেসরকারী সেচ্ছাসেবী সংগঠন এ্যাসোসিয়েশন অব ভলান্টারী এ্যাকশনস ফর সোসাইটি (আভাস) বাস্তবায়নে দাতা সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশ এর আর্থিক সহযোগিতায় সাস্টেইনেবল এসিসটেন্স ফর ইনক্লুশন এন্ড লাইভলিহুড (সেইল) প্রকল্পের আওতায় বিভাগীয় পর্যায়ে লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার বরিশাল বিডিএস কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: ইকবাল হাসান, সমাজসেবা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক এ কে এম আখতারুজ্জামান তালুকদার, সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ , যুব বিভাগের উপ-পরিচালক মো: শাহাবুদ্দিন সরদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নী, বিসিক জেলা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নজরুল ইসলাম। আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রোকৌশলী মোঃ গোলাম কবির প্রধান ইনেসটাক্টর টিটিসি বরিশাল, ইঞ্জি. আহমেদ আল ইমরান অধ্যক্ষ বিএমটিটিসি বরিশাল, মোঃ ইমরান তরফদার নির্বাহী প্রকৌশলী ডিপিএইচই বরিশাল, মোঃ মনিরুজ্জামান উপ-পরিচালক আঞ্চলিক শ্রম অফিস বরিশাল, প্রসান্ত কুমার রায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস বরিশাল, মোঃ মোজাম্মেল হক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইউএনও অফিস বরিশাল সদর উপজেলা, শাহ মোঃ রকিবুল হাসান সহকারী পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরিশাল, এ. বি. এম. শাহারিয়ার হায়দার (ভারপ্রাপ্ত) উপ-পরিচালক জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস বরিশাল, সিভিল সার্জন বিরিশাল, নুজহাত জাবিন কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশ, শুভ রায় মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অফিসার ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশ এবং চেয়ারম্যান চরবাড়িয়া, টুঙ্গিবাড়িয়া ও চরমোনাই ইউনিয়ন বরিশাল সদর বরিশাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আফরোজা বিলকিস প্রোগ্রাম পরিচালক আভাস বরিশাল এবং চরবাড়িয়া, টুঙ্গিবাড়িয়া ও চরমোনাই ইউনিয়নের ইউপি সচিব ও ইউপি সদস্য বৃন্দ, সাংবাদিক, ডাক্তার এবং মান্তা সম্প্রদায়ের ১৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় বলা হয়, নৌকায় বসবাস করতে আগ্রহী এমন একজনও মান্তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাদের আগ্রহ আছে একখণ্ড মাটির পৃথিবীতে একটি ছোট্ট ঘরের প্রতি। এমন স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও তাদের সাধ্য নেই।

মান্তাদের জীবনমান ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি তেমন কোনো উদ্যোগ। এমনটাই জানালেন মান্তা সম্প্রদায়ের একাধিক জন। তারা জানান, মান্তা বহরে যারা আছেন; তাদের জমি নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন একই জায়গায় নৌকা লাগিয়ে বসবাস করে যাচ্ছেন।

এখন জাতীয় পরিচয়পত্রধারী নাগরিক হতে গেলে জন্মনিবন্ধন আব্যশ্যিক। মান্তারা জন্মনিবন্ধনের স্বাভাবিক আওতার বাইরে আছে প্রথম থেকে। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে নানা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আর শ্রেণি–পেশার মানুষের জন্য নানা বরাদ্দ আর সহায়তা এলেও মান্তাদের তাতে কোনো হিস্যা থাকে না। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তালিকায় মান্তাদের ঠাঁই নেই বললে চলে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বয়স্ক ও ১০ টাকার চালের কার্ডে সহ অন্যান্য ভাতার জন্য গেলে প্রতিবার তাদের ফিরে আসতে হয়েছে শূন্য হাতে। মান্তাদের কোনো বরাদ্দ নেই এমনটাই শুনতে হয় বরাবর। সার্বিক বিষয় চিন্তা করে তাই সবার আগে তাদের জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পএ নিশ্চিত করতে হবে।

বেশি সমস্যা হয় কেউ মারা গেলে। জন্ম–মৃত্যু নৌকায় সম্ভব হলেও মাটি দেওয়া সম্ভব নয়। পারে বা ডাঙায় কবর দেওয়ার মতো একটুকরা জমি কেউ তাদের দেয় না। পৃথিবীতে বোধ হয় জমি ভিক্ষা পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। অনেক সময় বাধ্য হয়ে লাশ তাদের ভাসিয়ে দিতে হয় জোয়ারে। নয়তো নদীর তীরে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে রাখা হয়। এ সমস্যা নিয়ে অনেক দেনদরবার হলেও সার্বিকভাবে কোনো সমাধান কেউ দিতে পারেনি।

তারা আরও বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়ন করতে হলে এ মান্তা জনগোষ্ঠীর সবাইকে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে এ ভূমিহীন জনগোষ্ঠীকে সরকারি খাস জমির বন্দোবস্ত করে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED