সৌদি আরবে গোল করা অনেক কঠিন, দাবি রোনালদোর
স্পোর্টস ডেক্স ।।
বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে জলজ্যান্ত উদাহরণ হয়তো এখানে আর কেউ নেই। ৪০ বছর বয়সে একের পর এক গোল ওলটপালট করে দিচ্ছেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। কিন্তু তারকা ফুটবলারদের যে জ্বালা-যন্ত্রণার অন্ত নেই। একটু বাজে খেললেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়ে যায় কড়া সমালোচনা।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপ ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমান রোনালদো। আল নাসরের জার্সিতে আড়াই বছরে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১১৬ ম্যাচ খেলেছেন। গোলের পর গোল করে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। তবে যখন গোলখরায় থাকেন, তখন নেটিজেনরা ধুয়ে দেন পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ডকে। পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো জানিয়েছেন, সৌদি প্রো লিগকে অনেকে ঠিকভাবে মূল্যায়ন করেন না। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘মানুষ যা খুশি তা-ই বলতে পারেন। আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু সংখ্যাগুলো তো মিথ্যা না। সৌদি লিগ নিয়ে নানা কথা বলেন। অথচ যারা কখনো এখানে আসেননি, কখনো খেলেননি, তারা কী করে বুঝবেন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলার কষ্ট। আমার মতে পর্তুগিজ লিগের চেয়ে সৌদি লিগ অনেক অনেক ভালো।’
আল নাসরের হয়ে আড়াই বছরের ক্যারিয়ারে কেবল ২০২৩ সালে আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নস কাপ জিতেছেন রোনালদো। আর সৌদি প্রো লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কাছাকাছি হয়েও শিরোপা জিততে পারেনি রোনালদোর দল। বিভিন্ন টুর্নামেন্টে নকআউট পর্বে সৌদি ক্লাবটির বাদ পড়ার ঘটনা তো রয়েছেই। সৌদির ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলতে যে কত কষ্ট হয়, সেটা সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। সৌদি লিগ বাদে ইউরোপের কোনো লিগে খেললেও নিজের সেরাটা দিতে পারতেন বলে দাবি তাঁর। রোনালদো বলেন, ‘বাজে একটি মৌসুমেও আল নাসর যখন কোনো ট্রফি জেতেনি, সে সময় আমার ২৫ গোল ছিল। প্রিমিয়ার লিগে খেললেও একই ভাবে গোল করতাম। ভালো দলে খেললে ৪০ বছর বয়সেও একই পারফর্ম করতাম।’
সড়ক দুর্ঘটনায় গত ৩ জুলাই না ফেরার দেশে চলে গেছেন দিয়োগো জোতা ও তাঁর ভাই আন্দ্রে। ২৮ বছর বয়সী জোতার মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে অনেকে শোকপ্রকাশ করেছিলেন। তবে তাঁর শেষকৃত্যে যাওয়া হয়নি রোনালদোর। কেন তখন যাননি, সেই ব্যাখ্যায় পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘মানুষ অনেক সমালোচনা করে আমার। বিবেকের কাছে আপনি যখন ঠিক , তখন কারও কথা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আর কখনোই আমি কবরস্থানে যাইনি। আমাকে যারা চেনেন, তারা ব্যাপারটা জানেন। যেখানেই যাই, সেখানেই ভিড় হয়। হইচই শুরু হয়ে যায়। সার্কাসের মতো অবস্থা।’
স্পোর্টিং সিপি, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস, আল নাসরসহ ক্লাব ক্যারিয়ারে ১০৬৪ ম্যাচ খেলেছেন রোনালদো। ৮০৩ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ২৫৮ গোলে। ২০২২ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তৎকালীন কোচ এরিক টেন হাগের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ইউনাইটেড ছেড়ে আল নাসরে পাড়ি জমান রোনালদো। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের সেটা ছিল ম্যান ইউতে দ্বিতীয় দফা। এর আগে ইংলিশ ক্লাবটিতে প্রথম দফা ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন।
তথ্য সূত্র : আজকের পএিকা,,,,



Post Comment