Loading Now

স্টিমার মাহসুদ নিয়ে আশার আলো দেখছে বিআইডব্লিউটিসি

দ্বিতীয় ট্রিপে পর্যটক বেড়েছে স্টিমার পিএস মাহসুদের। আজ শুক্রবার ৫ নভেম্বর সকালে ৭৩ জন পর্যটক নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে স্টিমারটি। এতে আশাবাদী হয়ে উঠছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। স্টিমার সার্ভিসে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা।

গত ২৮ নভেম্বর থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে সপ্তাহে এক দিন ট্যুরিস্ট সার্ভিস দিচ্ছে ঐতিহ্যের প্যাডেলচালিত স্টিমার পিএস মাহসুদ। প্রথম যাত্রায় ২৩ জন পর্যটক হওয়ায় এই সার্ভিস টিকিয়ে রাখা নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছিল।

স্টিমার মাহসুদের ক্লার্ক নিপু জানান, আজ ঢাকা থেকে ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওনা করেছেন তাঁরা। এর মধ্যে চাঁদপুরে কিছু যাত্রী নেমেছেন। এই ট্রিপে প্রথম শ্রেণির কেবিনে ২০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনে ১৬ জন এবং চেয়ার সিটে ৩৭ জন এসেছেন।

আজ ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আব্দুর রহমান বলেন, ভ্রমণের জন্য নিঃসন্দেহে মাহসুদের সার্ভিস ভালো।

স্টিমার মাহসুদের মাস্টার সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, আগের তুলনায় পর্যটক বাড়া শুরু করেছে। তাঁরা আজ সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে সন্ধ্যার পর বরিশালে পৌঁছেছেন।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ নভেম্বর ঢাকা থেকে বরিশালে আসার কথা ছিল স্টিমার মাহসুদের। কিন্তু পর্যটক না হওয়ায় তা বাতিল করা হয়। এরপর ২৮ নভেম্বর মাত্র ২৩ জন পর্যটক নিয়ে বরিশালে পৌঁছায় মাহসুদ। ওই যাত্রায় বরিশাল কিংবা চাঁদপুর থেকে কোনো পর্যটক ওঠেননি। এতে এই ট্যুরিস্ট সার্ভিস নিয়ে হতাশ ছিল বিআইডব্লিউটিসি।

স্টিমার পিএস মাহসুদের ড্রাইভার মো. সোহাগ বলেন, প্রতিটি ট্রিপে বরিশাল থেকে ঢাকা ১০ ঘণ্টা এবং ঢাকা থেকে বরিশাল ৯ ঘণ্টা সময় লেগেছে। তিনি বলেন, আপডাউনে (আসা ও যাওয়া) পিএস মাহসুদের জন্য জ্বালানি তেল দরকার হয়েছে প্রায় ২ হাজার ২০০ লিটার। এতে জেনারেটর, মেইন ইঞ্জিনসহ সব কার্যক্রম সচল ছিল। প্রতি লিটার ডিজেল ১০০ টাকা দরে আপডাউনে মাহসুদের তেল খরচ হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার। তাঁর মতে, প্রথম ট্রিপে ১ লাখ টাকার কম ভাড়া পেয়েছে স্টিমার মাহসুদ। বাকিটা ভর্তুকি দিতে হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির বরিশালের ব্যবস্থাপক মো. জসীম উদ্দিন জানান, দ্বিতীয় ট্রিপে পিএস মাহসুদ ঢাকা থেকে বরিশালে ৭৩ পর্যটক নিয়ে আসে। প্রথমবার মাত্র ২৩ পর্যটক হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে স্টিমারে পর্যটক বাড়বে।’

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা-বরিশাল রুটে বিআইডব্লিউটিসির প্যাডেলচালিত স্টিমার সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। তিন বছর পর সেই স্টিমার যাত্রী পরিবহনে ফেরাতে কয়েক মাস ধরে তৎপরতা চলে। শত বছরের পুরোনো জাহাজটি মেরামতে ব্যয় করা হয় প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED