হাট ইজারা আদায় নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি ।।
হাট ইজারা আদায়কে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমনকি ককটেল বিস্ফোরণ করানো হয়েছে। এতে সাধারন জনগনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল ) হাটের দিন সকাল থেকেই চিকনিকান্দি হাটে সরকারি খাস আদায় নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে ও ককটেল বিস্ফোরণ করানো হয়। মোঃ লিমন মৃধা ও মেহেদী হাসান মুকুল প্যদা দুই পক্ষ সকাল থেকেই পৃথক স্থানে বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করে। ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আলতাফ হোসেন স্থানীয় মুকুল প্যদার পক্ষের ৫ জনকে ৩৫ হাজার টাকার বিনিময়ে খাস আদায়ের লিখিত অনুমতি দেয়াকে কেন্দ্র করেই এ উত্তেজনা তৈরী হয়। হাটের খাস আদায়কালে ঘটনাস্থলে পরপর চারটি ককটেল বিস্ফোরণ করানো হয়। তবে কারা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। ঘটনার পরপরই গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, আমাকে ক্ষমতা দিয়েছে বাজারের খাস আদায় করতে। এখন আমি সরকারি লোক কিভাবে আদায় করবো? এজন্য পাঁচজন লোককে দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছি। এভাবেই তো আদিকাল থেকে চলে আসছে।
এ ব্যাপারে গলাচিপা ভূমি সহকারী কমিশনার মোঃ নাসিম রেজা বলেন, বিধি মোতাবেক ইজারা বিজ্ঞপ্তির পরও চিকনিকান্দি হাট ইজারা হয়নি। তাই এটি নিয়ে ইউনিয়ন তাহসিলদারের মাধ্যমে খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত তহসিলদার হাতে লিখে কিছু লোককে নিয়ে খাস আদায়ের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেটা বিধিসম্মত হয়নি। আইন অনুযায়ী এই ধরনের দায়িত্ব অর্পণ করার ক্ষমতা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার নেই। বর্তমানে শুধুমাত্র অফিসের লোকজন খাস আদায় করবে, ব্যক্তিগত আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।
গলাচিপা থানার ওসি মোঃ আসাদুর রহমান বলেন, চিকনিকান্দির পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে আমরা সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
Post Comment