Loading Now

৪ বছরেও শুরু হয়নি দুমকির বাহেরচর-নলুয়া সেতুর নির্মাণ কাজ

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি ।।

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা ও পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পায়রা-পাণ্ডব নদীর ওপর নলুয়া – বাহেরচর সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছিল ২০২১ সালের ৮ জুন একনেক সভায়।

এতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বরিশাল (দিনারেরপুল) লক্ষ্মীপাশা-দুমকি সড়ক (জেড-৮০৪৪) এর ২৭তম কিলোমিটারে পাণ্ডব পায়রা নদীর ওপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে অনুমোদন দেয় সরকার। সেতুটি নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে। কিন্তু চার বছর পার হলেও এখনো সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরুই হয়নি।

এলাকাবাসী জানান, সেতু নির্মাণে দেরির কারণে প্রতিদিন ফেরি দিয়ে হাজারো মানুষ ও যানবাহন পারাপারে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা দ্রুত একনেকে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নলুয়া-বাহেরচর এলাকায় সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রহস্যজনকভাবে নির্ধারিত স্থান নলুয়া-বাহেরচরের পরিবর্তে জলিসা-দাসপাড়া এলাকায় সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। প্রথম অনুমোদিত প্রকল্পের স্থান বাদ দিয়ে নতুন করে জলিসা-দাসপাড়া এলাকায় সেতু নির্মাণ করতে হলে নতুনভাবে জমি অধিগ্রহণ, রাস্তা নির্মাণ ও ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নলুয়ার স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ খান জানান, নলুয়া- বাহেরচর এলাকার নলুয়া ইউনিয়নের প্রধান সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়ে সেতুটি জলিসা-দাসপাড়া এলাকায় স্থাপন করা হয় তাহলে এই এলাকার সাধারণ মানুষের যোগাযোগে আরো দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে, জলিসা-দাসপাড়া নলুয়া ইউনিয়নের পূর্ব দিকে নদীর চর এলাকা যেখানে কোন রাস্তাঘাট নেই সেতুটি যদি ওই এলাকায় নির্মাণ করা হয় সেটা লোকালয় থেকে অনেক দূরে হয়ে যাবে। এতে জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি সরকারের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। এবং এলাকাবাসীও সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হবে।

স্থানীয়দের পক্ষ থেকে সেতুটি একনেকে অনুমোদিত স্থানে নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদনও পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে সেতুর নকশা, হাইড্রোলিক ও মরফোলজিক্যাল স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে।

নলুয়া- বাহেরচর সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আবু এহতেশাম রাশেদ জানান, ইতোমধ্যে সেতুটি নির্মাণের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের জুন জুলাই মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

১৩০০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ হলে বাকেরগঞ্জের ও দুমকি দুই উপজেলার মানুষ সরাসরি সংযোগ পাবে এবং এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED