Loading Now

বরিশাল আওয়ামী শিবিরে গ্রেফতার আতঙ্ক!

সুমাইয়া জিসান ।।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত করার জেরে বরিশালে ফের গ্রেপ্তার আতঙ্কে দলটির নেতাকর্মীরা। প্রায় প্রতিদিনই বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের। এতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভয়ভীতির মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন।কারন ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পরে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় এজাহারনামীয় আসামীর চেয়ে আওয়ামী সমর্থক ও নেতারা গ্রেফতার বেশি হচ্ছেন। অনেকের বাসাবাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তল্লাশির ঘটনাও ঘটছে। ফলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি কিংবা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। এর একটি অংশ আত্মগোপনে থেকেও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি ও নাশকতার অপতৎপরতা চালাতে সচেষ্ট রয়েছে বলে তথ্য পাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যাতে কোনো ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত হতে না পারেন, সে জন্য পুরো বরিশালে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার এসপিকে সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগের সব ধরনের নেতাকর্মীরা দ্রুত আত্মগোপনে চলে যান। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই বিভিন্নভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে চলে গেছেন। কেউ কেউ ৫ আগস্টের আগেই দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমান। নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে দলটি। এখন পর্যন্ত সেই অবস্থাতেই রয়েছে। বরিশাল কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল নিশাত জানান,গত ১ সপ্তাহে তারা কাউনিয়ার বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসায় অভিযান চালিয়েছেন।তবে তারা ১ জনকে আটক করতে পেরেছেন। এদিকে আওয়ামী নৈরাজ্য দমনে সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার হয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানাধীন এলাকায়। প্রতিদিনই বিভিন্ন ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের বাসায় চলছে অভিযান। একই সাথে প্রতিদিন আটকও হচ্ছে বলে জানান অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান। ফলে গা ঢাকা দিয়েছেন আওয়ামী নেতাকর্মীরা।
গত ১৫ দিনে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কোন নেতা আটক হয়নি তবে জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শাজাহান হাওলাদার ও সাবেক কাউন্সিলর গাজী আক্তারুজ্জামান হিরু উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের যুবলীগের কর্মী সমর্থক রা আটক হচ্ছেন।

এদিকে যারা আত্মগোপনে আছেন, তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ হঠাৎ কোনো কোনো জায়গায় দু-একটি ঝটিকা মিছিল বের করেছেন।

বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান,গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ বরিশালের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED