সমালোচনার মুখে সরিয়ে ফেলা হলো নাটক, ক্ষমা চাইলেন নির্মাতা ও অভিনেতা
বিনোদন ডেক্স ।।
হিন্দু-মুসলিম প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে নাটক-সিনেমা নির্মাণ নতুন কিছু নয়। এমন এক গল্প নিয়ে ‘আয়েশা আদিত্য’ নামের নাটক নির্মাণ করেছেন সজীব খান। কিন্তু এই নাটকের বিষয়বস্তু ভালোভাবে নেয়নি নেটিজেনদের একাংশ।
ইউটিউবে নাটকটি প্রচারে আসার পর সমালোচনার মুখে পড়েন কলাকুশলীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে নাটকটি। ক্ষমা চেয়েছেন নির্মাতা সজীব খান ও অভিনেতা পার্থ শেখ। আয়েশা আদিত্য নাটকের গল্পে দেখা যায়, প্রভাবশালী রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে আয়েশার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আদিত্য নামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবকের। একসময় আয়েশার পরিবার তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারে। এক সকালে নদীতে পাওয়া যায় আদিত্যর মৃতদেহ।
নাটকে আয়েশা চরিত্রে অভিনয় করা সাবরিন আজাদকে দেখা গেছে হিজাব পরিহিত আর পার্থ শেখের হাতে বাঁধা লাল সুতা। অনেকেই মনে করছেন, আয়েশা আদিত্য নাটকের মাধ্যমে হিন্দু ছেলে-মুসলিম মেয়ের প্রেমকে সাধারণ ও গ্রহণযোগ্য করে উপস্থাপন করা হয়েছে; যা ইসলামের দৃষ্টিতে অনুচিত।
আবার কেউ কেউ হিন্দুধর্মের অবমাননা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করছেন। এমন সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কাহিনি নামের ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে নাটকটি। অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করেছেন নির্মাতা ও অভিনেতা।
নির্মাতা সজীব খান লেখেন, ‘নাটক বানাতে গিয়ে সর্বদা চেষ্টা করি, কারও অনুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে। সাম্প্রতিক সময়ে আমার নির্মিত নাটক আয়েশা আদিত্য রিলিজ হওয়ার পর বুঝতে পারি, নাটকটা মুসলিম ভাইবোনদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে; যা পুরোটাই আমাদের অনিচ্ছাকৃত। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি এবং আমার টিম ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকব, যাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।’
একই ধরনের কথা লিখেছেন পার্থ শেখ। এর আগেও একটি নাটকের সংলাপকে কেন্দ্র করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অভিনেতা। সেই বিষয়ও উঠে এসেছে পার্থ শেখের পোস্টে। দুটি নাটকের জন্যই ক্ষমা চেয়ে অভিনেতা জানান, ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজের সঙ্গে আর জড়িত হবেন না।
পার্থ লেখেন, ‘অভিনয় আমার পেশা। গল্পের চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলাই আমার কাজ। ব্যক্তিগতভাবে কখনোই কোনো মানুষকে অসম্মান করতে শিখিনি, অসম্মান করিনি। তবে চার বছর আগে একটা নাটক এবং সম্প্রতি আয়েশা আদিত্য নাটকটিতে কাজ করাটা আমার উচিত হয়নি। এ জন্য আমি দুঃখিত ও ক্ষমা চাইছি। ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করব না, যা কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।’
Post Comment