Loading Now

বরিশালে খুচরা বাজারে বেড়েছে মসলার ঝাঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

ঈদুল আজহা সামনে রেখে বরিশালের খুচরা বাজারে বেড়েছে মসলার ঝাঁজ। লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ ও জিরাসহ বিভিন্ন মসলার দাম এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে মান ভেদে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এলাচ, জিরা, আদা ও রসুনের ক্ষেত্রে এই ঊর্ধ্বগতি সবচেয়ে বেশি। ঈদের রান্নায় যে মসলাগুলো সুবাস ছড়াবে, সেগুলো এখন রূপ নিয়েছে বিলাসিতায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। বেশ কিছুদিন ধরেই মসলার দাম ওঠা নামা করছে।

বিক্রেতারা বলছেন, মসলার আমদানি অব্যাহত থাকলেও আগের উচ্চ দামে কেনা পণ্য বিক্রি করছেন তারা, ফলে খুচরা বাজারে দাম বাড়তির দিকে।

ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের খুচরা বাজারে মসলার দামে নতুন করে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। এই মূল্যবৃদ্ধি স্বাভাবিক নয়, বরং ঈদের আগে ইচ্ছাকৃতভাবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে।

 

সোমবার (২ জুন) সকালে বরিশাল নগরীর চকবাজার, বাজার রোড, বাংলাবাজারসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি এলাচ ৪৬০০-৫০০০, জিরা ৫৫০-৬৫০ টাকা, দারুচিনি ৪৫০-৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১৩৫০-১৪৫০ টাকা, কালো গোলমরিচ কেজি ১৪০০-১৫০০, কিশমিশ ৫৫০-৬৫০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা কেজি, রসুন ১২০-১৪০ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে মসলার দাম প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেশি দেখা গেছে।

চকবাজার মসলার পাইকারি ব্যবসায়ী গৌতম শাহা বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই মসলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝে একবার মসলার দাম কিছুটা বাড়লেও আবার কমেছে। তাছাড়া এখন মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তাই দাম আগের তুলনায় কম।

বাজার রোড এলাকার মসলা ব্যবসায়ী মোস্তফা হাওলাদার জানান, অনেক মসলা দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। তাই মসলার দাম অনেকটা বিশ্ববাজারের ওপর নির্ভর করে। তবে পাইকারি বাজারে মসলা যে দামে বিক্রি করা হয় খুচরা বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ার কারণে অনেকে মনে করেন পাইকারি বাজারেও মসলার দাম বেড়েছে।

বাংলাবাজার এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আল-আমিন খান বলেন, পাইকারি বাজার থেকে মসলা কিনে পরিবহন খরচ দিয়ে আনতে হয়। পরে প্যাকেজিং ও সংরক্ষণের খরচের জন্য দাম খুচরা পর্যায়ে কেজিতে কিছুটা বেশি রাখতে হয়। অন্যথায় সব খরচ দিয়ে পোষানো যায় না।

তবে ক্রেতারা বলছেন, মসলার দাম স্থিতিশীল থাকলেও সাধারণের নাগালের মধ্যে নেই। ছোট পরিবারগুলোর জন্য একসঙ্গে অনেক মসলার দরকার হয় না, তাই তাদের খুচরা বাজারের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। মসলার দাম পাইকারি বাজারেও কমানো উচিত। পাইকারি বাজারে দাম কমলে খুচরা বাজারেও দাম কমে যাবে।

মসলা কিনতে আসা রাসেল বলেন, খুচরা বাজারে দাম বেশি নিলেও সেখান থেকে কিনতে হচ্ছে। কারণ অল্প পরিমাণ মসলাতো আর পাইকারি বাজার থেকে কেনা যায় না। তাছাড়া নিয়মিত বাজার মনিটরিং দরকার।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, প্রায় প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। দাম বেশি রাখার কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED