Loading Now

গাজায় এক কেজি চিনি ৭০০০, আলু ২৮০০ টাকা!

অনলাইন ডেক্স ।।

গাজা যেন জাহান্নাম! আর এই সুন্দর জায়গাটিকে জাহান্নাম বানানোর নেপথ্যে ইসরাইল। মৃত্যু যেখানে স্বাভাবিক, সেখানে আহার তো বিলাসিতা! অনাহারেই দিন কাটে বেশিরভাগ মানুষের। না খেয়ে কঙ্কালসার হয় অসংখ্য শিশু-কিশোর-আবাল। ত্রাণশিবিরে মানুষের হুড়োহুড়ি নিত্য ঘটনা। বাজারে জিনিসের দাম আকাশচুম্বি।

গাজায় ‘পার্লে জি’র মতো বিস্কুটের দাম নিয়ে করা একটি ভাইরাল পোস্ট সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনায় উঠে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে, এক প্যাকেট ‘পার্লে জি’ বিস্কুট গাজায় কিনতে হচ্ছে ২৪ ইউরো দিয়ে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৩০০ টাকা! কিন্তু শুধু বিস্কুট নয়, গাজার বাজারে বিক্রি হওয়া অন্যান্য পণ্যের দামও আকাশছোঁয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’তে প্রকাশিত এক তালিকায় উঠে এসেছে গাজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য! এক লিটার রান্নার তেলের দাম প্রায় ছয় হাজার টাকা। আবার এক কেজি চিনির দাম ৭,০০০ ছাড়িয়েছে। এক কেজি গুঁড়ো দুধ কিনতে গাজাবাসীকে ব্যয় করতে হচ্ছে ১২২৪ টাকা, ময়দা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার একশো টাকা প্রতি কেজিতে। এক কেজি লবণের দাম ৭০০ টাকা। প্রতি কেজি আলু ২,৮০০ টাকা, টমেটো ১,৫৭৪ টাকা। মুসুর ডাল গাজার বাজারে প্রতি কেজি বিকোচ্ছে ১২২৪ টাকায়। আর মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ টাকা।

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়ই উদ্বেগ প্রকাশ করছে জাতিসংঘ। ইসরাইলের ‘অবরোধের’ কারণে গাজায় ত্রাণ এবং মানবিক সাহায্য প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আপত্তিতে ইসরাইল সুর নরম করে। গাজায় ত্রাণ বা মানবিক সাহায্য প্রবেশ শিথিল করে ইসরাইল সরকার। কিন্তু এখন যে পরিমাণ ত্রাণ যাচ্ছে, গাজাবাসীর জন্য তা যথেষ্ট নয়! শুধু তা-ই নয়, পর পর ইসরাইলি হামলায় গাজায় কাজ নেই সাধারণ মানুষের, আয় বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে এতো টাকা খরচ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED