বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের জমি দখল মামলায় চার্জশিট দাখিলে এসআই মাজেদের স্বজনপ্রীতি
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বরিশাল জেলা পুলিশের বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের একটি সরকারি জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কতিপয় ভূমিদস্যু ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।বরিশাল জেলা পুলিশের জমি দখলের ঘটনায় ১০ জনার নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৫-৭ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে বরিশাল জেলা পুলিশ।
মামলা দায়ের করার পর মামলার তদন্তকারী এসআই মাজেদুল ইসলাম আসামিদের থেকে অনৈতিক সুবিধা পেয়ে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন কিন্তু তিনি মামলার বাঁদিকে চার্জসিট এর বিষয় কোন অবহিত করেননি এমনকি তদন্তকারী এসআই আসামিদের সাথে যে ফোনে আলাপ আলোচনা করেন তার কিছু তথ্য প্রমাণ বাদীর কাছে সংরক্ষিত আছে বলে প্রতিবেদককে জানান।
কর্মরত কোন স্থানে পুলিশ যদি কোন জমি ক্রয় করে তখন ওই জমি ক্রয় করার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন হয়।এখানে যেসব পুলিশ জমি ক্রয় করেছেন তারা কোন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেননি যাহা সম্পূর্ণ বেআইনি।
বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের পক্ষে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র)সুবিমল চন্দ্র ঢালী।
অভিযোগ সূত্রেজানা যায়,বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যদের যোগসাজশে ভূমি দস্যুরা বরিশাল জেলা পুলিশ এর বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের জমি দখল করে ২০২৪ সালের ৬ই আগস্ট।জেলা পুলিশের জমি দখল হয়েছিল বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা সংলগ্ন বরিশাল বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের সামনের জমি।৬ই আগস্ট সকালে বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের জমি দখল করে পাকা দেয়াল করার কাজ করতে গেলে স্থানীয়রা অবৈধভাবে জমি দখল করে কাজে বাধা দেয় এই বাঁধায় তাদের দখলদারিত্বের কাজ পন্ড হয়ে যায়।
২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট দেশের পটপরিবর্তন হলে দেশের চলমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা নিস্কৃয় হয়ে পরলে সেই সুযোগে বরিশালের কয়েকজন চিহ্নিত ভূমি দস্যু বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের জমি দখল করতে যায় ৬ই আগস্ট।
বরিশালের চিহ্নিত অভিযুক্ত ভূমিদস্যুরা হলেন মোঃ কাঞ্চন আলী হাওলাদার এর ছেলে আবুল বাসার (৪১),নুর আলম সিকদার এর ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৪২), মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান এর ছেলে মোঃ সাদিকুর রহমান (৪১),আনোয়ার হোসেন শেখ এর স্ত্রী শাহানাজ পারভীন (৪৩),মোঃ নজরুল ইসলাম এর স্ত্রী আয়সা আকতার (৩১) জাবেদ আলী মিয়া এর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৬৩),মোঃ হুমায়ুন কবির (৩৯),মোঃ ফারুক হোসেন ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৮)বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক সরদার, এর ছেলে তানভীর হক সরদার (৩০),কালু শেখ এর ছেলে শেখ আনোয়ার হোসেন (৬৩) বরিশাল।
বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের জমি দখলের ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় যে মামলা হয় সেই মামলার সূত্রে জানাযায়,বাদী শ্রী সুবিমল চন্দ্র ঢালী পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) বিপি-৭০৮৮০৬২৬১৪, বর্তমানে পুলিশ লাইন্স বরিশাল জেলায় কর্মরত। আমি পুলিশ সুপার, বরিশাল জেলা, মহোদয়ের নির্দেশক্রমে জেলা পুলিশের ভূমি এবং স্থাপনার কাজ দেখাশুনা করিয়া আসিতেছি। অদ্য ইং ১৩/০৮/২০২৪ তারিখ থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদী ১। আবুল বাসার, (৪১) (এনআইডি নং-৫৫৪৫৬৮১২৯৭) পিতাঃ মোঃ কাঞ্চন আলী হাওলাদার, সাকিন+ডাকঘরঃ হিজলতলা, থানাঃ বন্দর, জেলাঃ বরিশাল এর নেতৃত্বে ২। মোঃ নজরুল ইসলাম (৪২), (এনআইডি নং-৪১৬৮৯৩৬৬৮২) পিতা- মোঃ নুর আলম সিকদার, সাকিয় ধোপাকাঠী, ডাকঘরঃ পতাং-৮২০৪, বরিশাল সদর, বরিশাল ৩। মোঃ সাদিকুর রহমান (৪১), (এনআইডি নং-০৬১০৭২০৩২০১৫৯), পিতাঃ মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, সাকিনঃ উত্ত কাটাদিয়া, ডাকঘরঃ চরামদ্দি, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল ৪। শাহানাজ পারভীন (৪৩), (এনআইডি নং-৪৬৪২৯১০০৯৭), স্বামীঃ আনোয়ার হোসেন শেখ, সাকিনঃ কাটপট্টি রোড, ডাকঘরঃ বরিশাল-৮২০০, বরিশাল সদর, বরিশাল ০৫ আয়শা আখতার (৩১) (এনআইডি নং-১৯৯৩৪২১৭৩৯৪০০০০৮৬), স্বামীঃ মোঃ নজরুল ইসলাম, সাকিনঃ সুবিদপুর, ডাকঘরঃ সুবিদপুর-৮৪২০, নলছিটি, ঝালকাঠি ০৬। আনোয়ার হোসেন (৬৩) (এনআইডি নং-০৬৯৫১১৭২২২৬৫৩) পিতা- জাবেদ আলী মিয়া, ১৯ নং ওয়ার্ড, ৪৯৮, রাজিয়া ম্যানশন, আগরপুর রোড, বিসিসি, বরিশাল ০৭। মোঃ হুমায়ুন কবির (৩৯), (এনআইডি নং-৪৬২৪৯০৫২৪৮২৪৫), সাকিনও দক্ষিণ কাকড়াবুনিয়া, ডাকঘরঃ ভয়াং বাজার, মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী, বর্তমান ঠিকানাঃ নবগ্রাম রোড, ২২ নং ওয়ার্ড, হাতেমআলী কলেজ, বরিশাল ৮। মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৮), (এনআইডি নং-০৬৯৫১১৬২১৮০৩০), পিতাঃ মোঃ ফারুক হোসেন, সাং-জোলাগাতী, ডাকঘরঃ জোলাগাতী, থানাঃ কাউখালী, পিরোজপুর ৯। তানভীর হক সরদার (৩০), (এনআইডি নং-২৮৪৬১৫৮৯৯২), পিতাঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক সরদার, সাকিনঃ সরদার মার্কেট, ৪২, লাইন রোড, ০৯ নং ওয়ার্ড, বিবিসি, বরিশাল ১০। শেখ আনোয়ার হোসেন (৬৩) (এনআইডি নং-৬৪৪২৮৬৯৯৪৪), পিতা-কালু শেখ, সাং- কাটপট্টি রোড ৯ নং ওয়ার্ড, বিসিসি, বরিশাল সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জন স্থানীয়ভাবে ভূমিদস্যু ও দাঙ্গা হাঙ্গমাকারী হিসাবে পরিচিত। তাহারা ইতোপূর্বে বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন কোতোয়ালী থানা ভবনের অনুমান ১০০ গজ পূর্ব দিকে নির্মানাধীন বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের সীমানা প্রাচীরের ভিতরের জমি একাধিকবার দখল করিবার চেষ্টা করিয়া ব্যার্থ হয় যাতা প্রতিরোধ করার জন্য কোতয়ালী থানার সাধারণ ডায়রী নং- ৭৯ তাং-০২/০৩/২৪ খ্রিঃ। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বিরাজমান দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগে গত ইং ০৬/০৮/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৯:০০ ঘটিকায় উল্লেখিত আসামীগন বেআইনি জনতাবদ্ধে দেশীয় অস্ত্র রামদা, লাঠি, শাবল, কুড়াল ইত্যাদি নিয়া বর্ণিত বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসে কোন লোকজন না থাকার সুযোগে উক্ত ভূমিতে পাকা প্রাচীর ওয়াল ভেঙ্গে অনধিকার প্রবেশ করিয়া একটি জাম গাছ, একটি মেহগনি গাছ, একটি আম গাছ ও একটি রেইন্ট্রি গাছ যাহার সর্ব মোট মূল্য অনুমান ২৫০০০/-(পচিশ হাজার) টাকা কেটে চুরি করিয়া নিয়া যায় এবং সেখানে পুলিশের সীমানা প্রাচীর বেষ্টিত সরকারী জমি অবৈধভাবে দখল করার উদ্দেশ্যে পাকা দেয়াল তৈরী করে। ইং ১০/০৮/২০২৪ তারিখ বেলা অনুমান ১২:০০ ঘটিকার সময় স্থানীয় ছাত্র-জনতা ১। ইমন খান ২। রাশেদুল ইসলাম’র নেতৃত্বে ৮/১০ জন লোক উল্লেখিত আসামীদের কর্তৃক সার্কেল অফিসের ভিতরের সরকারী জমিতে প্রাচীর নির্মাণকাজ বন্ধ করিয়া দেয়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার সংবাদ পাইয়া ঐ দিনই অর্থাৎ ইং ১০/০৮/২০২৪ তারিখ বিকাল ১৬:০০ ঘটিকার সময় আমিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া ঘটনা দেখি, শুনি ও বিস্তারিত বিশনে জানিয়া উন্নতিন পুলিশ কর্মকর্তাগণসহ মাননীয় পুলিশ সুপার বরিশাল মহোদয়কে অবহিত করি।
অতএব,উল্লেখিত জমি দখল ও গাছ কর্তনের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনা।করিয়া তাহাদের নিদের্শক্রমে ঘটনার সহিত জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে অত্র এজাহার দাখিল করিলাম। দেশের বর্তমান বিরজমান পরিস্থিতিতে পুলিশের কার্যক্রম সিমিলতার কারণে এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের জমি দখলে যেসব পুলিশ সদস্যরা জড়িত ছিল তারা হলেন এসআই আবুল বাসার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অলরেস অপারেটর কর্মরত ছিলেন,অপর দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সহয়াতার অভিযোগ পাওয়া যায় আর তারা হলেন হুমায়ন কবির ও শহিদুল ইসলাম।
ভূমিদস্যুরা যখন বরিশাল বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের জমি দখল করে তখন যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তারা বলেন দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বরিশালের শেখ আনোয়ার ৫শতাংশ জমি বিক্রি করে ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে যান।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন আমাদের বাধার কারণে তারা বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের জমি দখল করে অন্যকে বুঝিয়ে দিতে পারেনি।পুলিশের জমি দখলের সময় পুলিশের উপস্থিতি ও জমি দখলের বিষয় জনমনের এক চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় তখন।
বরিশাল বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের জমি দখল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মোঃ মাজেদ রহস্য জনক ভাবে এজাহার নামীয় মেট্রোপলিটন কর্মরত দুই পুলিশ সদস্য ও দুই নারীকে মামলার হতে অব্যাহতি চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এজাহার নামীয় আসামিদেরকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই তদন্তকারী এসআই মাজেদ এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৬ই আগস্ট সকালে শেখ আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতকারী কোতোয়ালি থানাধীন নির্মাণাধীন বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের সীমানার ভেতরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। এ সময় তারা একটি জাম, একটি মেহগনি, একটি আম এবং একটি রেন্ডি গাছ কেটে নিয়ে যায়।যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৫,০০০ টাকা।এরপর তারা সরকারি ওই জমি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে সেখানে পাকা দেয়াল তৈরি করতে শুরু করে।পরে স্থানীয়দের বাঁধায় ভূমি দস্যদের দেয়াল নির্মাণের কাজ পন্ড হয়ে যায়।
অনুসন্ধানে জানা জানাযায়, মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারলেস অপারেটর পরে জেলা পুলিশে যোগদান কৃত আবুল বাসার একজন ভূমি দস্যু হিসাবে পরিচিত লাভ করে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ভূমি দস্যুদের সাথে মিলেমিশে জমি দখল করতেন। অনুসন্ধানে আরো জানাযায় পুলিশের সহয়তায় ভূমি দস্যু আনোয়ার বরিশালের বিভিন্ন যায়গায় জমি দখল করেছে।
স্থানীয়রা যানায় আনোয়ার বরিশালের পেয়ারা রোডের একটি লন্ডি দোকানের মালিক ছিলো সেখান থেকে বরিশালের ডাকাত দলের সাথে সখ্যতায় ডাকতি ও চোরা স্বর্ণ অলংকারের ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা শুরু করেন। এরপরই আনোয়ার আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে বরিশাল নগরীর চৌমাথা গির্জা মহল্লা, কাশীপুর, করাপুরে কয়েক কোটি টাকার জমির ও মালিক হন।
উক্ত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ আনোয়ার বলেন আমি জমি বিক্রি করে দিয়েছি আপনি পুলিশ আবুল বাসারের সাথে কথা বলেন।
জেলা পুলিশের জমি দখলের বিষয় জানতে চাইলে আবুল বাসার বলেন আমাদের ক্রয় করা জমি বরিশাল জেলার সাবেক পুলিশ সুপার অহিদুল ইসলাম দখল করতে দেয়নি, রাষ্ট্রের পটপরিবর্তন হয়েছে তাই আমরা আমাদের জমি দখল নিতে গিয়েছি। জমি দখল করার বিষয় যে মামলা হয়েছিল সেই মামলা ও মামলার তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলার আয়ু এস আই মাজেদ জুয়েলার্স দোকানের মালিক আনোয়ার এর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মামলার চার্জশীট থেকে দুই পুলিশ ও দুই নারীর নাম বাদ দিয়েছে। এবং আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে এখানে যদি অপরাধী হয় তাহলে সবাই অপরাধী আর যদি অপরাধী একজন না হয় তাহলে কেউই অপরাধী নয় বলেন তিনি।
বরিশাল জেলা পুলিশ এর জমি দখল করার ঘটনার বিষয় যে মামলা হয়েছিল সেই মামলার বাদী জানান পুলিশের জমি দখল করা অন্যায় ও নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করেছেন শেখ আনোয়ার, তবে পুলিশের জমি দখলের সময় পুলিশের সহয়তাকে প্রশাসনের ইমেজ হুমকির মুখে পরেছ। এ ঘটনায় ১০ আগস্ট স্থানীয় ছাত্র-জনতা ওই নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়।পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।তিনি আরো বলেন মামলার আয়ু মোটা অংকের টাকা খেয়ে আমার এই মামলা থেকে চারজনকে বাদ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমি না যে পিটিশন দিতে গেলে জানতে পারি এই মামলা অন্য আদালত বদলি হয়েছে তাই না রাজি করতে পারিনি এখানে আয়ুর এবং আসামিদের মধ্যে সখ্যতা রয়েছে বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আয়ুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার আমরা সেটা করব।
উক্ত বিষয়ে সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রেজওয়ান আহেমেদ, পিপিএম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পুলিশের জমি দখলের ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার, বরিশাল মহোদয়ের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। কয়েকজন ভূমি দস্যু আমাদের জেলা পুলিশের জমি দখল করে দেয়াল দিতে গেলে স্থানীয়দের সহায়াতায় বন্ধ হয়ে যায়।বিষয়টি আমাদের তখনকার পুলিশ সুপার জানার পরে বরিশাল কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করে।জেলা পুলিশের জমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তা ব্যর্থ হয়। বিষয়টি জানার পর পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল জেলা পুলিশের জমি দখলের বিষয় বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন বরিশাল জেলা পুলিশের এক ইঞ্চি জমিও অন্যায় ভাবে দখল হতে দিব না। এই জমি কারো মালিকানাধীন নয় এটি একটি প্রতিষ্ঠান এর জমি। এখানে যেই পুলিশ সুপার আসবে না কেন সেই এই জমি রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। তাই পুলিশের এই সম্পত্তি হাত ছাড়া হবে এটা আমাদের কারো কাম্য নয়। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেব।
উল্লেখ্য যে, জমি বিক্রেতা শেখ আনোয়ার বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর সাবেক বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারসহ ১১জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন অভিযোগ সূত্রে দেখাযায় গত ১৩/০২/২০২৪খ্রিঃ বরিশাল সদর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের মাধ্যমে দলিল নং ২৩৭৪ মূলে তাহাদের নামে সাব কবালা দলিল রেজিষ্ট্রি করিয়া দেই।শেখ আনোয়ারের অভিযোগ সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বরিশাল সদর সাব-রেজিস্টার গিয়ে জানা যায় ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারীতে কোন উক্ত নাম্বারের দলিল হয়নি। এছাড়া অভিযোগের যেসব তথ্য আনা হয়েছে তাহার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তারা। অভিযোগকারী যে অভিযোগ দিয়েছেন তার স্বপক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ প্রতিবেদককে দেখাতে পারিনি।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে ভূমিদস্যু ও দাঙ্গাহাঙ্গামাকারী হিসেবে পরিচিত। এর আগেও তারা একই জমি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল।এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল যাহার ডায়েরি নং-৭৯ তারিখ ০২-০৩-২০২৪।
Post Comment