Loading Now

অ্যাঙ্গোলায় ‘জুলাই আন্দোলনে’ নিহত ৩০, মেসিদেরকে নাগরিক সমাজের বিশেষ অনুরোধ

স্পোর্টস ডেক্স ।।

চলতি বছর অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার দেশটিতে সফর করার কথা। তবে তার ঠিক আগে স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে বড় আন্দোলনে কাঁপছে দেশটি। জুলাই মাসে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে ইতোমধ্যে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে অনেক। যার ফলে শঙ্কায় পড়ে গেছে মেসিদের অ্যাঙ্গোলা সফর। একাধিক নাগরিক সংগঠন খোলা চিঠির মাধ্যমে এই ম্যাচে না খেলার জন্য অনুরোধ করেছে আর্জেন্টিনা ও মেসিকে।

 

আর্জেন্টিনা ও আঙ্গোলার ফুটবল কর্তৃপক্ষ নভেম্বর মাসে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানী লুয়ান্ডায় একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের কারণে এর বিরোধিতা করছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

চিঠিতে চারটি নাগরিক সমাজ সংগঠন, যাদের মধ্যে ক্যাথলিক, আইনজীবী ও গণতন্ত্রপন্থি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, অভিযোগ করেছে আঙ্গোলার সরকার ‘পদ্ধতিগত দমননীতি’ চালাচ্ছে। তারা লিখেছে, ‘পরিকল্পিত ম্যাচে অংশ না নেওয়া হবে আন্তর্জাতিক সংহতির এক মহৎ দৃষ্টান্ত এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।’

 

আঙ্গোলা আফ্রিকার অন্যতম তেল উৎপাদনকারী দেশ। তবে এরপরও প্রায় ৩.৮ কোটি জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে বলে জানাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। গত জুলাই মাসে জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুরু হওয়া আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। দোকানপাট লুটপাটের পর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়, আহত হয় ২৭০ জনের বেশি এবং গ্রেপ্তার হয় প্রায় ১ হাজার ৫১৫ জন। এটি দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অস্থিরতা বলে মনে করা হচ্ছে।

 

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যেখানে সরকারি সম্পদ বড় ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের পেছনে ব্যয় হচ্ছে, সেখানে হাজারো শিশু ও মানুষ দীর্ঘমেয়াদি ক্ষুধা, তীব্র রক্তশূন্যতা ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’

 

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০২৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঙ্গোলার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না। সংগঠনগুলোর দাবি, দেশটির ব্যবসায়িক সুযোগ থেকে উপকৃত হচ্ছে কেবলমাত্র একটি গোষ্ঠী, যারা শাসক দল এমপিএলএ’র সঙ্গে যুক্ত, যে দলটি ১৯৭৫ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই ক্ষমতায় রয়েছে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED