Loading Now

ইনজুরি-বিতর্ক পেছনে ফেলে পূর্ণতার পথে তাসকিন

স্পোর্টস ডেক্স ।।

ইনজুরি ছিল, এর সঙ্গে ঘটে যায় কিছু বির্তর্কিত ঘটনা। খারাপ সময় পার করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। ইনজুরি থেকে ফিরেই পাল্লেকেতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে চার উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে সবশেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও তিনটি করে উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার। তবুও পুরো ছন্দে বোলিং করতে পারছিলেন না। ভিতরে ছিল অসন্তুষ্টি। এশিয়া কাপের আগে নিজেকে পুরোপুরি ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। সেই অনুযায়ী করেছেন কঠোর অনুশীলন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেই রিদমের আভাস দিলেন তাসকিন। নিলেন ক্যারিয়ারের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তৃতীয়বারের মতো চার উইকেট। শনিবার ম্যাচসেরা হওয়া পর তাসকিন বললেন, ধীরে ধীরে নিজেকে পূর্ণভাবে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

 

সংবাদ সম্মেলন শেষ করে ড্রেসিংরুমের দিকে যাচ্ছিলেন তাসকিন। তখন এক সাংবাদিক মজা করে বললেন, শরীর কমেছে কি টেনশনে? হাসতে হাসতে.. তাসকিন জানালেন, তাইলে তো আর কেউই মোটা থাকতো না! বুঝিয়ে দিলেন অনেক কষ্টই করছেন। আরও কষ্ট করে নিজেকে পরিপূর্ণ তাসকিনে দেখতে চান তাসকিন। কে জানে, এশিয়া কাপেই হয়তো কাঙ্ক্ষিত সেই রূপের দেখা পেতে পারেন!

 

পেসারদের ইনজুরি ও  চাপ সামলালোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করে থাকে টিম ম্যানেজমেন্ট। ওয়ার্কলোড কমানোর জন্য এক’দুই ম্যাচ বিরতি দিয়ে পেসারদের খেলানো হয়। তাসকিন এসব চাপ নিয়ে ভাবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি তো সব ম্যাচেই খেলতে চাই। এমনকি প্রস্তুতি ম্যাচেও বাদ যেতে চাই না। কিন্তু আমাদের ম্যানেজমেন্ট রয়েছে তারা এসব নিয়ে কাজ করেন। আমার কতটুকু খেলা উচিত সেটা তারাই খেয়াল রাখেন। সেভাবেই কাজ করার চেষ্টা করছি।’

ডাচদের বিপক্ষে গতির সঙ্গে ভালো কিছু স্লোয়ার দিয়ে উইকেট দিয়েছেন। তাসকিন বলেন, ‘এখন অনেক ভালো অনুভব হচ্ছে। ইনজুরি থেকে এসে শ্রীলংকা সিরিজ দিয়ে শুরু করছিলাম। ছন্দ পেতে একটু কষ্ট হচ্ছিল। এখন ভালো হচ্ছে। শেষ কিছু সপ্তাহে অনেক কষ্ট করেছি। এখনও অনেক পথ যেতে হবে। উইকেট পাওয়া, ছন্দ যেটা বললেন। এটাই প্রসেস ফলো করছি।’

তিনি বলেন, ‘পেস বোলার হিসেবে আমি ফাস্ট বল করতে পছন্দ করি। বিষয়টা হল পরিস্থিতি বুঝে বল করা। যে পরিস্থিতি যেমন বল করার কথা ছিল, তেমন চেষ্টা করছি। ভালো প্রয়োগ হয়েঝে। ভালোর তো শেষ নেই। টি-টোয়েন্টি খেলা, অনেক সময় অনেক ভালো বলে বাউন্ডারি হয়। ভ্যারিয়েশনগুলো সঠিক সময়ে ব্যবহার করতে পারায় হয়তো আজকের এই সাফল্যটা পেয়েছি।’

ইনুজুরি থেকে ফেরার  পর ছয় ম্যাচে ১৬ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। এর মধ্যে দুটি ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি। অনেক সময় ভালো বোলিং করলেও উইকেট আসে না। তবে উইকেটের চেয়েও নিজেকে পুরোপুরি ফিরে পাওয়াকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাসকিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট দু’একটা ট্রল হলেই অনেক ক্রিকেটার নিতে পারেন না। সেখানে তাসকিনের নামে বন্ধুকে মারধরের জিডি হয়েছে, অনেক গণমাধ্যমে খবরও হয়েছে। সেসব চাপ সামলেও তাসকিন নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন। তার ধারণা, নিজের কাজটা নিজেকেই করতে হবে। সমালোচনা সেটা মানুষই করে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED