স্বেচ্ছায় পুলিশের পিকাপে উঠে আবার পুলিশের নামেই শ্লীলতাহানীর মামলা!
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বরিশালে গত আগষ্ট মাসে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের আন্দোলনের নিয়ে উওাল ছিল বরিশাল। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার এক আসামি যিনি পুর্বে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিল এবং ২ হাতে ২টি বড় দা সহ তার একটি ছবি ভাইরালও হওয়ার পর যাতে স্বাস্থ্য খাত আন্দোলনে কোন অরাজক পরিস্থিতি না ঘটে সেজন্য গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিওিতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় এক নারী সহ কয়েকজন আন্দোলনকারী ঐ ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাড়িয়ে নিতে অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাথে ধস্তাধস্তি এবং এক পর্যায়ে পুলিশের গাড়িতে উঠে বসেন। যদিও পরে তারা আবার সেচ্ছায় চলে যান। এ ঘটনায় নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানী ও হেনস্তার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন সিএন্ডবি পোল থানা কাউন্সিল পেশকার বাড়ির মসজিদ গলির বাসিন্দা তাসমিন ইয়াসমিন নামক এক ব্যক্তি।
মারধর ও শ্লীলতাহানিসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) এবং মেট্রো ডিবির ওসি সহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলা দুদককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বরিশাল মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর মো. এমতাজুল হক এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী মো. শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান, ডিবি পুলিশ পরিদর্শক সগীর হোসেন, কোতয়ালী মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম, স্টিমারঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই নাসিম বাইজিদ, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ। এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে ডিবির পরিদর্শক সগীর হোসেন বলেন, বরিশাল নগর ভবনের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় নারীসহ ৫/৬ জন মিছিল করতে করতে পুলিশ পিকআপে ওঠে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা পরে স্বেচ্ছায় চলে গেছে।এগুলো সব মিডিয়ায় এসেছে। এখানে শ্লীলতাহানি কিংবা মারধরের কোন প্রশ্নই আসে না।
Post Comment