Loading Now

দেশে বেকারদের সাড়ে ১৩ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী!

অনলাইন ডেক্স ।।

দেশে এক বছরের ব্যবধানে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৬০ হাজার। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ২০ হাজারে, যা ২০২৩ সালে ছিল ২৪ লাখ ৬০ হাজার। মোট বেকারের মধ্যে ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে ২০২৪ সালে প্রায় ৯ লাখ স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকার ছিলেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপের (এলএফএস) চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

একইসঙ্গে ২০২৪ সালে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশে, যা আগের বছর ছিল ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। এই সময়ে স্নাতক পাস বেকারের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৮৫ হাজার, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ হাজার কম। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ২০ শতাংশের বেশি। ২০২৪ সালে সার্বিক জাতীয় বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

অন্যদিকে গত বছর মাধ্যমিকের নিচে পড়াশোনা করা বেকারের সংখ্যা ১ লাখের বেশি বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৭ হাজার। শতকরা হিসেবে তাদের বেকারত্ব বেড়েছে ০ দশমিক ৫১ শতাংশ পয়েন্ট।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, পরিস্থিতি মোটেও সন্তোষজনক নয়।

তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে প্রত্যাশিত হারে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়েনি। ব্যবসার সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিও সীমিত পর্যায়ে আছে। তিনি আরও বলেন, এখানে চাকরির প্রকৃত উৎস সরকার, তা-ও সংখ্যায় সীমিত এবং প্রতি বছর সেই সুযোগ আসে না। তাই এ অবস্থায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির আশা করা বাস্তবসম্মত নয়।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যা অর্জন করা গেছে, তা হলো কেবল সম্পূর্ণ ধস নামা ঠেকানো। যেমন—মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, ব্যাংক খাতকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা এবং সীমিত মূলধন দিয়ে রিজার্ভ পুনর্গঠনের চেষ্টা।

মুক্তপতন থেকে কয়েকটি সূচককে স্থিতিশীল করা গেছে, তাই অর্থনীতি কিছুটা হলেও পুরোপুরি বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

কিন্তু এর পাশাপাশি আরও কিছু সমস্যা আছে। হ্যাঁ, জিডিপি বেড়েছে, কিন্তু সেটা আসলে বিভ্রান্তিকর। কারণ প্রবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান চালক হলো দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ, আর সেটি বাড়েনি।

তিনি মন্তব্য করেন, বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থান কীভাবে বাড়বে? গত বছর প্রত্যাশিত বিনিয়োগ হয়নি।

তথ্য সূত্র : ঢাকা মেইল,,,,

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED