বরিশালে একদিনের সফরে বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন: সচিব মমতাজ আহমেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বরিশালে একদিনের সফরে আসলেন
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ। ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বরিশালে নিজ দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন তিনি।
বরিশাল নগরীর পুলিশ লাইন রোডে অবস্থিত নারী উদ্যোক্তা প্লাবনি ইয়াসমিনের মৃৎ শিল্পের প্রতিষ্ঠান সন্দেশ মোন্ডস, এরপরে সাগরদী রূপাতলীতে অবস্থিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি ও সততা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের মা ও শিশুর সহায়তা কর্মসূচির উপকার ভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা, জয়িতা ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় অফিস নির্মানের প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন, গৌরনদীর বাটাজোড় কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন সহ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আওতায় সকল পরিদর্শন করেন।
এসময় সফর সঙ্গী হিসেবে তার সাথে ছিলেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাহিদ মঞ্জুরা আফরোজ, কিশোর কিশোরী ক্লাবের উপপ্রকল্প পরিচালক মো: লিয়াকত আলী, জেলা প্রশাসক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নি গৌরনদী উপজেলার সহকারী কমিশনার মো: মেহেদী হাসান, গৌরনদী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহানারা পারভীন।
কাশিপুর সিএনভি রোডে অবস্থিত মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে উদ্যোক্তাদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ বলেন, আমরা চাই সকল নারী উদ্যোক্তারা সফল হোক। এর জন্য যা করনিয় আছে আমরা করব। বরিশালকে একটা ব্যবসায়িক জোন হিসেবে দাঁড় করাবো। শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে যেখানে নারী-পুরুষ সকলে মিলে একসাথে কাজ করবে। বরিশালের নারীরা মাটি দিয়ে এতো সুন্দর নিখুঁত ভানে মৎ শিল্পের কাজ করে তা আমার জানা ছিলোনা। মাটির কাজ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। এখানকার নারীরা এতো সুন্দর করে গহনা, নকশিকাঁথা, পার্টির বুনতে পারে যখন তখন এদের সব সময় সহায্য সহযোগিতা করা হবে। কারন এসব হাতের কাজের চাহিদা বিদেশে অনেক বেশি। এরা নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে বৈদেশিক মূদ্রা আয় করতে পারবে। এদের দেখলে বুঝা যায় নারীরা আর পিছিয়ে নেই। আপনাদের কিছু দরকার হলে সরাসরি আমাকে ফোন করবেন বা মন্ত্রণালয় চলে যাবেন। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকার সাহায্য সহযোগিতা করছে গর্ভকালীন ভাতা থেকে শুরু করে সকল চিকিৎসা বিনামূল্যে দিচ্ছে। মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যা করণীয় আছে তা করা হবে। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। এর জন্য সরকার প্রতিবছর বরাদ্দ বাড়াছে। আপনাদের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যা লাগবে আমাদের জানাবেন। কিশোর কিশোরীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিক্ষা, খেলাধূলা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে শুরু করে সার্বিক বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কিশোর কিশোরীর যে ক্লাব রয়েছে তার বরাদ্দ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আশা করি আমরা সফল হব। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন স্থানের মতবিনিময় শেষে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
Post Comment