পটুয়াখালীতে নুরুল হক, সরকারি অফিসে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হয়নি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি ।।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর আমরা আশা করেছিলাম, দেশ থেকে ঘুষ-দুর্নীতি চিরতরে বিদায় হবে। একটা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ইচ্ছা ছিল। বাস্তবে তা হয়নি। বিশেষ করে সরকারি অফিসের ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। এসব বন্ধ করতে হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো বাড়ানো দরকার। আমরা এটা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি।’
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পৌর মঞ্চে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নুরুল হক এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন সর্বোচ্চ হওয়া উচিত। শিক্ষকেরা দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক। শিক্ষকেরা আমাদের গুরু। চলমান ন্যায্য আন্দোলনকে আমরা পুরোপুরি সমর্থন করি। আমি মনে করি, তাঁদের বিষয়ে সরকারের ভাবা উচিত।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে রাজনৈতিক পেশিশক্তি ও কালোটাকা বন্ধ করতে আমরা বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি চেয়েছিলাম। পিআর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনে যে দল যত পার্সেন্ট ভোট পাবে, সেই দলের তত পার্সেন্ট সংসদ সদস্য থাকবে। তাহলেই কারও একক দলের মাতব্বরি কিংবা ছড়ি ঘোরাতে পারবে না। এখন আর আগের দিন নেই; দিনের ভোট রাতে হবে। “মেম্বারেরটা মাইরা দেন, আমরা চেয়ারম্যানটা মাইরা লইতাছি।” সেই দিন এখন আর নেই।’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম ও মো. রবিউল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলার আহ্বায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সদস্যসচিব মো. শাহ আলম সিকদার, গলাচিপা উপজেলার আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমান, দশমিনা উপজেলার আহ্বায়ক মো. লিয়ার হোসেন, বাউফল উপজেলার আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, বরিশালের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদ সহসভাপতি আবু নাঈম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফারুক হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
Post Comment