Loading Now

গণভোটের আদেশ প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়ার আহবান হাসনাতের

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় গণভোটের জন্য আদেশ জারী করতে হবে। সেটা প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুসকে করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রোববার শিল্পকলা একাডেমিতে এনসিপির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি। এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গণভোটের আদেশ যদি চুপ্পুর কাছ থেকে নিতে হয়, তাহলে এটি হচ্ছে বিপ্লবের কফিনে শেষ পেরেক। হেডম ফ্যাসিজম চুপ্পুর কাছ থেকে অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি নিতে হয় এর থেকে লজ্জার আর কিছুই নেই। তিনি বলেন, যারা গণতান্ত্রিক উত্তরনের পথের দিকে যাচ্ছে, গনতন্ত্র চাচ্ছে দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, নিজেদের নেতাকর্মীদের জীবন উৎসর্গ করেছে, রাজপথে রক্ত দিয়েছে অভ্যুত্থানের জায়গা থেকে কতটা নৈতিক ফ্যাসিষ্টের রুপকারের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক উত্তরণের সনদ নিতে যাচ্ছে। এটা কতখানি প্রাসঙ্গিক তারা বিবেচনা করবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে এ বিষয়ে অনঢ়। এ বিষয়ে আদেশ জারী করতে হবে। কোন অধ্যাদেশ, কোন প্রজ্ঞাপন নয়। সেটি অধ্যাপক ইউনুস জারী করবেন। যে ম্যান্ডেটের কারনে এ সরকার হয়েছে। সেই ম্যান্ডেটের কারনে অর্ডার দিবেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেন, তিনশ আসনেই আমাদের সাংগঠনিক বিস্তার। আমাদের সাংগঠনিক পরিকল্পনা নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা তিনশ আসনে সুসংহত হতে পারি।
নির্বাচনে জোট করার বিষয়ে বলেন, আমরা কার দিকে যাচ্ছি সেটা মুখ্য নয়। সংস্কারের পক্ষে কারা আসছে। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট আমরা চেয়েছিলাম জুলাই সনদের বিষয়বস্তু। আরেকটি হলো জুলাই সনদের বাস্তবায়ন। এখন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে মতভেদ তৈরি হয়েছে। কিভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হবে। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়েই মত পার্থক্য হয়েছে। বিভিন্ন সুপারিশ এসেছে, কেউ বলেছে গণভোট, আমরা বলেছিলাম গণপরিষদ, কেউ বলেছে আগামী সংসদ। আসলে আমরা যে বেশি দূরে দাঁড়িয়ে সেটি কিন্তু নয়। সংস্কার কেন প্রয়োজন আমরা যে নির্বাচনের জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছি। গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহনমূলক অবাধ, সুষ্ঠু যেখানে প্রত্যেকটা ভোটার ম্যাটার করবে। আমরা যেন একটি গুনগত, কাঠামোগত রুপান্তরের মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক উত্তরণের দিকে যেতে পারি।

তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন যাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় তার বড় দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দলের। গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। সেটা যেন গ্রহণযোগ্য হয়। জনগন যাকে ম্যান্ডেট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে, সেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করবে। এ নিয়ে আমাদের ভিন্নমত নেই। ভোটটা যেন ম্যাটার করে। এখানে যেন কোন ওসির প্রভাব যেন ম্যাটার না করে, এসপির প্রভাব যেন ম্যাটার না করে। গণমাধ্যমে ভুমিকাও গুরুত্বপূর্ন ।
অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে হাসনাত বলেন, অভ্যুত্থানে সাংবাদিকরা যদি হাউজের বিরুদ্ধে গিয়ে বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রচার না করতো, তাহলে আমাদের কাঙ্খিত অভ্যুত্থান অধরা থেকে যেত। গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করলেও একটি অংশ ফ্যাসিষ্টদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য প্রচার করে। মুখরোচক ও ভিউ শিরোনাম দেয়।
শাপলা প্রতীক নিয়ে তিনি বলেন, শাপলা প্রতীক কেনো দিবেনা তার ব্যাখ্যা দেয়নি নির্বাচন কমিশন। যার ফলে এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদি নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয় তখনও তার ব্যাখ্যা দিবে কিনা।

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মাহমুদা আলম মিতু, বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন। সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসা।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED