Loading Now

সমঝোতার নামে নাটক অপসো স্যালাইন কারখানা কতৃপক্ষের, ক্ষুব্ধ শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

শ্রমিকদের টানা কর্মবিরতিতে বরিশালে অপসো স্যালাইন লিমিটেড কারখানায় অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। কারখানাটির অচলাবস্থা কাটাতে আজ বুধবার মালিকপক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরে সভা অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে কোন সিদ্ধান্ত
দিতে পারেনি মালিক পক্ষ থেকে আসা প্রতিনিধি দল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পূনরায় সমোঝোতায় বসার কথা জানান উপস্থিত সকলে।

৫৭০ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা। গত শনিবার নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে সামিয়ানা টানিয়ে শ্রমিকরা সেখানে অবস্থান নেন। মঙ্গলবার বিকেলে শ্রমিকরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে আনুমানিক ছয় কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, বুধবার (আজ) শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।

এদিকে কর্মসূচির শুরু থেকেই আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে আসছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ জোটের অন্যতম দল বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা সমন্বয়ক ডা. মনিষা চক্রবর্তী জানান, বুধবার (আজ) শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালযে সভায় ডাকা হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত নতুন কর্মসূচি না দিতে বলেছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।

অপসো স্যালাইন লিমিটেড দেশের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ প্রস্তুতকারী অপসোনিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠান।

অপসো স্যালাইন কারখানার স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে চাকরিচ্যুতরাসহ কারখানার আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন প্রস্তুতকরণ) শাখার শ্রমিকরাও বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। চাকরিচ্যুতির চিঠিতে শ্রমিকদের পাওনা আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের স্টুরিপ্যাক শাখাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED