ভোটের নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি, তৎপর থাকবে সেনাসহ সব বাহিনী
অনলাইন ডেক্স ।।
দরজায় কড়া নাড়ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মাসখানেকের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার। সম্ভাব্য সব চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখে কেউ যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য এবারের নির্বাচনে নিরাপত্তা প্রস্তুতি যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি নেওয়া হচ্ছে।
এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে মাঠে তৎপর থাকবে সেনাবাহিনী। কিছু এলাকায় নিয়োজিত থাকবেন এই বাহিনীর কমান্ডো সদস্যরাও। নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রে প্রবেশ এবং ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি চেয়েছে সেনাবাহিনী। শুধু সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাচনি বাজেটই প্রস্তাব করা হয়েছে ৪০০ কোটি থাকা। সঙ্গে অন্যান্য বাহিনীও তৎপর থাকবে।
গত ২০ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেই সভায় ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয়। সেই সভার কার্যবিবরণী থেকে নির্বাচনে নিরাপত্তা পরিকল্পনার বিভিন্ন তথ্য জানা যায়
ওই বৈঠকে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি জানান, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, ভোটার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় থাকা জরুরি। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের ওপর হামলা, কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, ভোটে বাধা ও বসতবাড়িতে হামলা বা অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা রয়েছে। ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ আইনের আওতায় বর্তমানে সেনাবাহিনী ৬২ জেলায় মোতায়েন আছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং পরবর্তী চার দিনসহ মোট আট দিন সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা যেতে পারে। নির্বাচনি কাজে সেনাবাহিনীকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ ও গাড়ি অধিযাচনের অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। সেনাবাহিনীকে ইতোমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে; বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হলে ভূমিকা আরও কার্যকর হবে। নির্বাচনের এই দায়িত্ব পালনে আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকার বাজেট প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান তিনি।
অঞ্চলভিত্তিক কমান্ডো মোতায়েন ও আর্মি এভিয়েশন ইউনিট
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পসহ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে কমান্ডো বাহিনী মোতায়েন এবং আর্মি এভিয়েশন ইউনিট প্রস্তুত রাখার প্রস্তাব করেছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি জানান, সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নির্বাচনি দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) গুজবরোধে একটি অ্যাপ চালু করেছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এধরনের অ্যাপ তৈরি করা যেতে পারে। বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, ইতিপূর্বে নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ওপরে যেসব স্থানে হামলা হয়েছিল সেসব এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সারাদেশে সেনাবাহিনীর ৯০ হাজারের বেশি সেনা সদস্যকে নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত করার জন্য প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন, অঞ্চলভিত্তিক কমান্ডো বাহিনী মোতায়েন এবং আর্মি এভিয়েশন ইউনিট প্রস্তুত রাখার কথাও জানানো হয়। পার্বত্য এলাকায় নির্বাচনি মালামাল পরিবহনের জন্য হেলিপ্যাড তৈরি থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ ও ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি চায় সেনাবাহিনী
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনি মালামাল রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, নির্বাচনি কাজের জন্য সেনাবহিনীকে ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও জানান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ নির্বাচনে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে। এ বিভাগ থেকে নৌবাহিনীর তিন হাজার সদস্য, সেনাবহিনীর ৯০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায় স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি জানান, প্রতি ভোটকেন্দ্রে অন্তত একটি বডিওর্ন ক্যামেরা থাকবে এবং আশপাশের এলাকাও রেকর্ডিংয়ের আওতায় আনা হবে। আকাশে ড্রোন উড়লে দুষ্কর্মের আশঙ্কা কমবে বলে মত দেন তিনি।
কার অধীনে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী?
নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ আইন নাকি ইসির অধীনে থাকবে- তা নির্ধারণের তাগিদ দিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত নৈৗবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি।
বৈঠকে তিনি জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সুবিধা হলো ইতোমধ্যেই সারাদেশে নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী মোতায়েন আছে। উপকূলীয় এলাকায় কিছুটা পিকুউলারিটি থাকে। বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ১১টি আসন উপকূলবর্তী। সাধারণত এলাকাগুলো চরাঞ্চল ও দুর্গম হয়ে থাকে, যার কারণে এখানে পরিবহন সমস্যা বিরাজমান। দীর্ঘদিন যাবত গাড়ি কেনার অনুমোদন না থাকায় যানবাহনের সংকট রয়েছে। নৌবাহিনীর নিজস্ব জলযান আছে, তবে সিভিল জলযানও লাগতে পারে। ইন এইড টু সিভির পাওয়ার-এর আওতায় সেনা ও নৌবাহিনী মোতায়েন থাকবে নাকি নির্বাচন কমিশনের আওতায় মোতায়েন থাকবে তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
বৈঠক শেষে ওই দিন ইসি সচিব আখতার এ বিষয়ে সরাসরি উত্তর না দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সেনাবাহিনী মাঠপর্যায়ে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার অনুযায়ী কাজ করছে। আমরা এম্ফাসাইজ করেছি ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিংয়ের বিষয়টি। তিনি জানান, প্রতিটি অর্গানাইজেশনে তাদের কিছু নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স রয়েছে, তারা কালেক্ট করে শেয়ারিংটা হবে। এতে জিনিসটা আরও সুসংগঠিত হবে।
এক্ষত্রে সশস্ত্র বাহিনী আগামী নির্বাচনে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে থাকবে নাকি তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসাবে থাকবে-জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এটার ব্যাপারে আরপিওটা সংশোধন হয়ে আসুক। দুটি মতামতই আছে। কিন্তু তাদের কন্টিনিউয়েশনের পক্ষেই আলোচনা হচ্ছে-ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে যেটা আছে। আরপিওর সঙ্গে সাংঘর্ষিকভাবে যেন না হয়, সে জিনিসটা আমরা লক্ষ করব।
জাতীয় নির্বাচনে আনসার- ভিডিপির যেসব সদস্যের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না বলে বৈঠকে জানিয়েছেন বাহিনীটির প্রধান। বৈঠকে আনসার ডিজি বলেন, গতবারের নির্বাচনের সঙ্গে এবারের নির্বাচন তুলনাযোগ্য নয়, কারণ প্রেক্ষাপট ও ঝুঁকি ভিন্ন। সাধারণ কেন্দ্রে দুটি ও বিশেষ কেন্দ্রে তিনটি অস্ত্রসহ আনসার মোতায়েন থাকতে পারে। আগে আত্মীয়–স্বজন ও অনভিজ্ঞ জনবলকে দায়িত্ব দেওয়া হতো, এবার অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত সদস্য বাছাই করা হয়েছে। প্রায় এক লাখ ৫৫ হাজার নতুন আনসার–ভিডিপি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। বড় চ্যালেঞ্জ তাদের পোশাক ও অস্ত্র; এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, ভোটকেন্দ্রে আনসারের পদবি ‘প্লাটুন কমান্ডার’ না লিখে ‘সেকশন কমান্ডার’ লেখা যৌক্তিক হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্তদের এবার দায়িত্ব দেওয়া হবে না। দায়িত্বপ্রাপ্তদের জন্য কিউআর কোডযুক্ত পরিচয়পত্র প্রদান, মোতায়েনকাল আট দিন নির্ধারণ এবং দীর্ঘদিন একই স্থানে থাকা সদস্যদের বদলির প্রস্তাব করা হয়েছে। অস্ত্র ও পোশাক খাতের অর্থ দ্রুত বরাদ্দ এবং সকল ভাতা অনলাইন/মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মোতায়েন থাকবে ১১ হাজার ৬০ প্লাটুন বিজিবি
সীমান্তে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বজায় রেখে নির্বাচনে ৪৯২ উপজেলায় ১১ হাজার ৬০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রাখা হবে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক।
বৈঠকে বিজিবি ডিজি জানান, সীমান্তে ২০ জনের কম কোনো বিওপি মোতায়েন হবে না, কক্সবাজারে ২৫ জন রাখা হবে। ৪৯২টি উপজেলায় ১১ হাজার ৬০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন সম্ভব। সীমান্তের দুই কিলোমিটারের মধ্যে সেনা মোতায়েন না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৬০টি উপজেলায় বিজিবি–র্যাব এবং ৩৭৭টি উপজেলায় বিজিবি–সেনাবাহিনী একসাথে দায়িত্ব পালন করতে পারে। নির্বাচনে প্রায় ৩,৫০০ গাড়ি অধিযাচনের প্রয়োজন হবে। গতবারের তুলনায় বাজেট চাহিদা কম এবং মাঠ পর্যায়ে বাহিনীর কমান্ড কন্ট্রোল সেনাবাহিনীর অধীনে থাকলে ভালো হবে।
অন্য প্রতিনিধিরা যা বলেছেন
আইজিপি জানান, পুলিশ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বে দায়িত্ব পালনে প্রশিক্ষণ ব্যয় বাড়বে। ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিকে আরও সক্রিয় করা ও আচরণবিধি প্রতিপালনে ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তায় পুলিশ প্রস্তুত।
ডিজি কোস্টগার্ড জানান, ৯ জেলার ১৭ উপজেলায় কোস্টগার্ড কার্যক্রম চালাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় সবচেয়ে কার্যকর বাহিনী হিসেবে তিন হাজার সদস্যের প্রশিক্ষণ চলছে।
ডিজি ডিজিএফআই বলেন, মাঠপর্যায়ের গোয়েন্দা তথ্য সময়মতো নির্বাচন কমিশন ও বাহিনী প্রধানদের দেওয়া হবে। গুজব মোকাবিলায় কমিশনকে দ্রুত সঠিক তথ্য সরবরাহ ও সাংবাদিকদের জন্য মিডিয়া নীতি প্রণয়ন জরুরি। মাঠপর্যায়ের কমান্ড কন্ট্রোলও নির্ধারণ প্রয়োজন।
ডিজি র্যাব জানান, র্যাব মোবাইল টিম হিসেবে কাজ করবে এবং ড্রোন, হেলিকপ্টারসহ অন্যান্য রিসোর্স ব্যবহার করবে। আচরণবিধি প্রতিপালনে কমিশনকে কঠোর হতে হবে; ব্যর্থ হলে নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে। নির্বাচনে পাঁচ হাজার ৫০০ র্যাব সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সিআইডি প্রধান জানান, সোশ্যাল মিডিয়া ও এআই ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হতে পারে। ইতোমধ্যে এ ধরনের বহু কনটেন্ট শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র্যাবের সাইবার ইউনিট এই কাজে নিয়োজিত।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রতিকূলতা থাকলেও সমন্বয় ও আন্তরিক দায়িত্ব পালনে তা মোকাবিলা সম্ভব। ২০০৮ সালের পর সশস্ত্র বাহিনী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞা থেকে বাদ ছিল, বর্তমানে কমিশন তাদের পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। গুরুত্বপূর্ণ হলো বাহিনী পেশাদার ও আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সংখ্যা নয়।
সভায় তিনি আরও বলেন, থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান করতে হবে এবং রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করে কাজ করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান।
বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি লেফট্যানেন্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিমান বাহিনীর প্রধানের প্রতিনিধি এয়ার ভাইস মার্শাল রুশাদ দিন আসাদ, নৌবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, এনএসআইর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু মোহাম্মদ সরোয়ার ফরিদ, ডিজিএফআইর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ভিডিপি অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান, এসবির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অর্থ) জিএম আজিজুর রহমান এবং সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্ল্যাহ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য সূত্র : ঢাকা মেইল,,,,



Post Comment