Loading Now

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী!

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ।।

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি গত রোববার থেকে তালাবদ্ধ থাকায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের (সিএইচসিপি) অনুপস্থিতির কারণে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) হিসেবে দায়িত্বে আছেন বাহাউদ্দিন লাবু। তিনি আওয়ামী লীগের দশমিনা উপজেলা শাখার সদস্য। গত রোববার মধ্যরাতে দশমিনা থানা পুলিশ ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে আছেন। তাঁর অনুপস্থিতির কারণে ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দেখা যায়, সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ। সেবা নিতে আসা রোগীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ক্লিনিকটি এভাবেই বন্ধ রয়েছে।

আউলিয়াপুর ইউপি সদস্য অসি সমাদ্দার বলেন, ‘ক্লিনিকটি বন্ধ থাকায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লোকজন এসে তালাবদ্ধ দেখে ফিরে যাচ্ছে। আমি লোকমুখে শুনেছি, কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি জেলে। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকার লোকজনের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ক্লিনিকটি চালু করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

আউলিয়াপুর গ্রামের সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবার প্রধান ভরসা এই কমিউনিটি ক্লিনিক। কিন্তু পাঁচ দিন ধরে এটি বন্ধ থাকায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমার কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা-জ্বর ও মাথাব্যথা। দুই দিন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) ক্লিনিকে এসে তালা পেয়েছি, তাই চলে যেতে হচ্ছে।’

অপর সেবাগ্রহীতা গাজী হাসান বলেন, ‘এর আগে এভাবে ক্লিনিক কখনো বন্ধ ছিল না। আমার কয়েক দিন ধরে জ্বর, গলাব্যথা ও মাথা ঘোরায়। এখানে এসে ক্লিনিক তালাবদ্ধ পেলাম। আমার মতো অনেকেই প্রতিদিন এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্লিনিক বন্ধ থাকার বিষয়টি দেখেছি। ক্লিনিকের দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি জেলে আছেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দিয়েছি।’

মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, আমি সেটা বাস্তবায়ন করব। আমার একার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই।’

তথ্য সূত্র : আজকের পএিকা,,,,,

 

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED