Loading Now

রফিক-সাকিব-তাইজুল—আশরাফুলের চোখে কে সেরা

স্পোর্টস ডেক্স ।।

বাংলাদেশের যে চার জন বোলার টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ কিংবা ততোধিক উইকেট নিয়েছেন, তাদের চারজনই স্পিনার। তারা হলেন সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ রফিক। মিরাজকে বাদ দিলে বাকি তিনজনের মধ্যে রয়েছে মিল—তিনজনই বাঁহাতি।

আর রফিক ছাড়া সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম—দুজনই আড়াই শ টেস্ট উইকেটে মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে। লম্বা একটা সময় ধরে সাকিব আল হাসান জাতীয় দলের বাইরে থাকায় গতকাল সাকিবকে (২৪৬) ছাড়িয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪৯ টেস্ট উইকেটের রেকর্ড গড়লেন তাইজুল ইসলাম।

এই তাইজুলকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। আর জাতীয় দলে সতীর্থ হিসেবে দেখেছেন মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসানকে। তো এই তিন স্পিনারের মধ্যে কে সেরা কিংবা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা আশরাফুল এমন এক প্রশ্নের জবাবে বললেন, ‘আমি বলব যার যার সময়ে তারাই সেরা। এখন তাইজুল খেলছে, এই মুহূর্তে সে-ই সেরা। রফিক ভাইয়ের সময় তিনি সেরা ছিলেন। আর সাকিব তো বিশ্বমানের।’ এরপর তাইজুলের সঙ্গে রফিকের একটা মিলের কথাও বললেন আশরাফুল। আর সেই মিলটা হলো ব্যাটিং কোচের ভাষায়, ‘তাইজুল এবং রফিক ভাইয়ের মিলটা আমার কাছে এক রকম লাগে যে, তারা সকালবেলা এসে শুরু (প্র্যাকটিস) করবে শেষ পর্যন্ত তা করে যাওয়ার চেষ্টা করবে।’ এখানেই সাকিব ছিলেন আলাদা, ‘সাকিব ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। সে চার ওভার বল করলেই তার মনে হতো, যথেষ্ট। সে হয়তো অনেকটা মস্তিষ্ক দিয়ে অনুশীলন করত।’

সাকিব যে সবার চেয়ে আলাদা ছিল সেটি পরিস্কার আশরাফুলের আরও একটা কথায়। সাকিব তাঁর ইমোশনকে ধরতে রাখতে পারতেন। আশরাফুলের ভাষায়, ‘সাকিব কেন র‍্যাঙ্কিংয়ে লম্বা একটা সময় এক নম্বর অলরাউন্ডার ছিল। সে তার ইমোশনটা ধরে রাখতে পারত। আর সে কারণেই ভালো করলেও নরমাল (স্বাভাবিক), খারাপ করলেও নরমাল থাকতে পারত।’

সব পরিস্থিতিতেই সাকিবের ‘নরমাল’ থাকার গুণটা দলীয় ব্যাটাররা রপ্ত করতে পারলেই আখেরে ক্রিকেটার এবং দলের লাভ হবে বলেই মনে করেন আশরাফুল। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ এই যে এক ম্যাচ ভালো খেলেই পরের ম্যাচে আবার খারাপ করেন—এর কারণটাও দলীয় ব্যাটারদের সব পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক থাকতে না পারার ব্যর্থতা বলে মনে করেন আশরাফুল।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED