শিরিনের দোয়া মোনাজাতে উপেক্ষিত সরোয়ার সহ আরও অনেকে ?
টানা ১৪ মাস পর প্রকাশ্যে নিজ উদ্যোগে বিএনপির কোনো কর্মসূচি পালন করলেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক(বরিশাল) বিলকিস জাহান শিরিন। এত দিন স্থগিত ছিল তাঁর পদ। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় রোববার ৩০ নভেম্বর বরিশালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক দোয়া অনুষ্ঠানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার ও তাঁর অনুসারীদের দেখা যায়নি।এবং মহানগর বিএনপির একাংশ ও সদর উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত নেতারাও ছিলেন না।তাদের পক্ষ থেকে পাওয়া গেছে দাওয়াত না পাওয়ার অভিযোগ।
২০২৪ সালের ১১ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের পদ স্থগিত করা হয়। চলতি বছরের ২২ নভেম্বর ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দল।
দোয়া অনুষ্ঠানে বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘কোনো বড় ভাইয়ের রাজনীতি করিনি। কারও সুপারিশে সাংগঠনিক সম্পাদক হইনি। কারও পিছনে ছাতা ধরে ছিলাম না। তৃনমূলের কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে ছিলাম।’আমাকে শিরিন বানিয়েছে খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে,মিডিয়া ক্যু এর মাধ্যমে ১ বছর ৪ মাস তাঁকে দল থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এবায়দুল হক চান, নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার, জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিনসহ যুবদল, ছাত্রদল, কৃষক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।তবে মজিবুর রহমান সরোয়ার, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরীন, সহ তার অনুসারী যুগ্ন আহবায়ক ও সদস্যরা এবং ফারুক- জিয়া অনুসারী একাধিক যুগ্ন আহবায়ক ও সদস্যদের পাশাপাশি সদর উপজেলা বিএনপির নতুন নেতাদের কাউকে দেখা যায় নি।
জানতে চাইলে শিরিনের ঘনিষ্ঠ জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সদস্য মুশফিকুল হাসান মাসুম বলেন, ‘শিরিন আপা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়ার আয়োজন করেছেন। এখানে কোনো ব্যক্তিকে কিংবা ব্যক্তির অনুসারীদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি।’
বিএনপির বরিশাল মহানগর শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরীন বলেন তিনি মিলাদের খবর জানেন না,দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন হচ্ছে এটা সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে শুনেছেন।
সরোয়ারের ঘনিষ্ঠ সহচর সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আমিন বলেন তিনি মিলাদের খবর জানেন না। সরোয়ার ভাই কেন যাননি, তাও জানা নেই।
নগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের তো পদ নেই। তাই সব জায়গায় যেতে পারি না। দাওয়াতও পাইনি আমরা। সরোয়ার ভাইকে নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি।’
এ ব্যাপারে বরিশাল নগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, ‘সাংগঠনিক সম্পাদক শিরিন অনেক দিন পর পদ ফিরে পাওয়ায় আমরা তাঁকে নিয়ে একসঙ্গে সাংগঠনিক কাজ করতে চাই। এটা আমাদের ঐক্যের নিদর্শন।’যারা দলের মধ্যে বিভেদ ও ষড়যন্ত্র করতে চায় শিরিন আপার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা তা রুখে দিতে চাই।
এ বিষয়ে জানতে সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন,আমাদের কারোরই মন মানুষিকতা ভালো নেই, আর আমি কাউকেই দাওয়াত দেই নাই। ম্যাডামের জন্য দোয়া মোনাজাত করিয়েছি এটাকে নিয়ে গ্রুপিংয়ের কোন সুযোগ নেই।সরোয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন তাকে কোন কর্মসূচিতে আগে থেকে বলে রাখতে হয় সেটা আমার এই তাৎক্ষণিক কর্মসূচিতে সম্ভব হতো না।



Post Comment