দেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই : সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
দেশের জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হচ্ছে কারিগরি দক্ষতা। এই শিক্ষা অর্জনের বিকল্প নেই।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অ্যাকসেলারেটিং অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং স্কিলস ফর ইকনমিক ট্রান্সফরমেশন (ASSET) প্রকল্প আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে-বিদেশে শিল্প ও প্রযুক্তিখাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের জন্য চাকরির সংকট নেই বরং দক্ষতার ভিত্তিতে তারা আত্মকর্মসংস্থানেও সফল হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক উন্নত দেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতের হার অত্যন্ত বেশি। দক্ষতা-নির্ভর মানবসম্পদ তৈরি করেই তারা উন্নয়নের শিখরে পৌঁছেছে। বাংলাদেশকেও সেই পথ অনুসরণ করতে হবে।
সেমিনারের আগে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. রকিব উল্লাহর সভাপতিত্বে ‘তারুণ্যের উৎসব’ উপলক্ষে আন্তঃটেকনোলজি টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এবং ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিভিন্ন পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন সচিব।
এর আগে সকাল ৮টায় ‘একটাই লক্ষ্য, হতে হবে দক্ষ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে নগরীর বেলস পার্ক মাঠে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন ২০২৫-এর আঞ্চলিক পর্ব উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী মীর জাহিদ হাসান (অতিরিক্ত সচিব ও ASSET প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক)।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. রকিব উল্লাহ’র সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (ভোকেশনাল) প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুফল চন্দ্র গোলদার, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সংযুক্ত কর্মকর্তা আরিফা পারভীন, পলিটেকনিকের উপাধ্যক্ষ এস.এম সামচুন নাহের ও মীর মঞ্জুর মোর্শেদ
ASSET প্রকল্পের উপ-পরিচালক রবিন্দ্র মাহাতসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের আওতায় বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মাঠ প্রাঙ্গনে ৪৪টি উদ্ভাবনী প্রকল্প, নির্বাচিত ৪টি জাতীয় পর্বে বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় ১৫টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩২ জন শিক্ষার্থী ৪৪টি উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করেন। যা পরিদর্শন করেন কারিগরি সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। উদ্ভাবনী প্রকল্পের মধ্যে সেরা চারটি উদ্ভাবন আগামী ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হয়েছে। স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন ২০২৫-এর প্রাতিষ্ঠানিক পর্ব গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের ২১১টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী ৩,২০৯টি উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনটি করে প্রকল্প আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচন করা হয়।



Post Comment