Loading Now

চাঁদা দাবীতে ঠিকাদারকে হুমকি;বিএনপি নেতার নামে থানায় জিডি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রায় ৯ কোটি টাকার রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ-উন্নয়নের কার্যাদেশ দেওয়া শিফাত হয়েছে এন্টারপ্রাইজকে। সে কাজ বাগাতে ঠিকাদারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহানগর বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন ঠিকাদার।

জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশন গত জুন মাসে ১৬ গ্রুপের উন্নয়নকাজের দরপত্র আহ্বান করে। তার মধ্যে ২৮ নম্বর প্যাকেজের ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ-উন্নয়নের সর্বনিম্ন দর দেয় শিফাত এন্টারপ্রাইজ। গত ২৪ নভেম্বর বিসিসি শিফাত এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয়। এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হলেন ঝালকাঠি শহরের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম নবীন। তাঁর লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে বরিশাল নগরের ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম দরপত্রে অংশ নিয়ে কাজটি পেয়েছেন।

ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম জানান,
তিনি নবীনের লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে বিসিসির দরপত্রে অংশ নেন। বিএনপির নেতা টলন দরপত্রে অংশ নেননি। কার্যাদেশ দেওয়ার পর থেকে টোলন নিজেকে মহানগর বিএনপির সদস্য দাবি করে তাকে হুমকি দিচ্ছেন তাঁদের নামে কাজটি লিখে দেওয়ার জন্য। না দিলে তাঁরা কাজ করতে দেবেন না।এমনকি কাজ করতে হলে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন তিনি।বাধ্য হয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে টলন ও আরেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

এ বিষয়ে নগর বিএনপির সদস্য বদিউজ্জামান টোলনকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যিনি কাজ পেয়েছেন তাঁকে আমরা কার্যাদেশ দিয়ে দিয়েছি। এখন এ নিয়ে বাইরে কোনো ঝামেলা হলে আমাদের করার কিছু নেই।’

দুই দিন আগে বিষয়টি জেনেছেন উল্লেখ করে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘আমার সঙ্গে একজন আলাপ করেছেন। অন্যায় যদি কেউ করেন, তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

এ বিষয়ে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন দল কারও অপকর্মের দায় নেবে না। আর দাপ্তরিক এ সকল ঝামেলা দপ্তরভিওিক সমাধান করাই ভালো। তবে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে দলগতভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন জানান তিনি।

উল্লেখ্য মহানগর বিএনপির একটি সুত্র জানায়, বদিউজ্জামান টলন নগরের উল্লেখযোগ্য কোন নেতা নয়।বিগত আন্দোলন সংগ্রাম এ তার কোন ভুমিকা নেই,বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে লবিং করে নগর বিএনপির সদস্য পদ বাগিয়ে নিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন জায়গায় ফাঁপর,চাঁদাবাজি করেই চলেন বলে দাবী ঐ সুত্রের। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের ছ্যাচরামোর আরো অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED