Loading Now

পটুয়াখালীতে কলেজছাত্র সিয়াম হত্যা, আটক ২

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ।।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কলেজছাত্র মো: সিয়াম হত্যা মামলার ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি মো. রাইয়ানকে (২২) ঢাকার ধোলাইপাড় এলাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব-৮)। এ ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত রাশেদকেও আটক করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে র‍্যাব-৮ এর পটুয়াখালী ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমান্ডিং অফিসার কমান্ডার মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন।

নিহত মো. সিয়াম (১৮) পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া গ্রামের মো. জুয়েল তালুকদারের ছেলে এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত সিয়ামের খালাতো ভাই আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (১৭) আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আটক মো. রাইয়ান (২২) মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের আবদুস ছালাম মিয়ার ছেলে।

কমান্ডার শাহাদত হোসেন জানান, ঘটনার দিন মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতেই নিহতের বাব মো. বাছেদ তালুকদার জুয়েল তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও জানান, নিহত সিয়াম ও আহত মাহমুদ সম্পর্কে খালাতো ভাই। ঘটনার দিন মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর মরিচবুনিয়া এলাকায় তাদের নানাবাড়ি থেকে মির্জাগঞ্জের খালাবাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওই দিন দুপুরের পর সিয়াম ও মাহমুদ ঘুরতে বের হন। বিকেল তিনটার দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি কলেজের পেছনের একটি মাঠে বসে গল্প করছিলেন তারা। এ সময় ৩/৪ জন অজ্ঞাত যুবক এসে তাদের মাদক সেবনের অভিযোগে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেন।

এ নিয়ে সিয়ামের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হলে তারা সিয়ামকে মারধর শুরু করে। সঙ্গে থাকা মাহমুদ বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে আহত করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে সিয়াম অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা সিয়াম ও মাহমুদকে মোটরসাইকেলে করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যায়।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আবদুর রহমান শামীম জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে অজ্ঞাত ৪/৫ জন ব্যক্তি সিয়াম ও মাহমুদকে হাসপাতালে এনে জরুরি বিভাগের সামনে রেখে দ্রুত চলে যায়। হাসপাতালে আনার আগেই সিয়ামের মৃত্যু হয়। আহত আবদুল্লাহ আল মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কমান্ডিং অফিসার জানান, আসামিরা বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছিল। গোয়েন্দা তথ্য ও বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যমে র‍্যাব-১০ এর সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকার ধোলাইপাড় এলাকা থেকে প্রধান আসামিসহ দুইজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ রাশেদসহ র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস সালাম জানান, মামলার এজাহারভূক্ত অন্যান্য আসামিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED