Loading Now

ভোটার হতে তারেক রহমানের ১৮ মিনিট!

অনলাইন ডেক্স ।।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে এসে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার কন্যা জাইমা রহমান। তাদের এই আগমন উপলক্ষে সকাল থেকেই কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয় নির্বাচন ভবন ও এর পেছনের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনের আশেপাশে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন এলাকার আশেপাশে এই চিত্র দেখা যায়।

এদিন বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে জাইমা রহমান ও তার মা জুবাইদা রহমান নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনের প্রবেশ করেন। পরে জাইমা রহমান তার ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১২টা ৪৫ মিনিটে ইটিআই ভবন ত্যাগ করেন।

এরপর দুপুর ১টার দিকে ইটিআই ভবনে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এখানে আসার পর তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমান এদিন তার আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন বলে জানা যায়।

 

পরবর্তী সময়ে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে ইটিআই ভবন ছেড়ে চলে যান। এসময় তিনি রাস্তায় অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। নেতাকর্মীরা তারেক রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

জানা যায়, তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার হয়েছেন ঢাকা ১৭ আসনের গুলশান এলাকার ডিএনসিসি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সিনিয়র সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে এনআইডি মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুর কবীর সাংবাদিকদের জানান, আমরা যতটুকু জেনেছি উনি (তারেক রহমান) অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। এখন আমাদের কাছে এসে কেবল আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।

এনআইডি ডিজি বলেন, এরপর সফ্‌টওয়্যার সক্রিয়ভাবে তার তথ্য সার্ভারে সার্চ করে দেখবে যে সেটা কারও সঙ্গে ম্যাচ করে কি-না। ম্যাচ না করলে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি নম্বর জেনারেট হবে। এটা আমাদের কারও হাতে নেই। এক্ষেত্রে আমাদের কাছ থেকেও এনআইডি বা স্মার্টকার্ড নিতে পারবেন। আবার তার মোবাইলে মেসেজ যাবে, সেখান থেকেও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এদিকে সকাল থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার কন্যা জাইমা রহমানের আগমন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন ভবন ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন থাকতে দেখা যায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে সাংবাদিকসহ সাধারণ কাউকে নির্বাচন কমিশন ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED