রোজায় বেড়েছে সব ফলের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
রমজানের শুরুতেই বরিশালের ফলের বাজারগুলোতে বেড়েছে সব ধরনের ফলের দাম। বিদেশি আপেল, আঙুর আর কমলা সাধারণের নাগালের বাইরে। বাড়তি দামের প্রভাবে কমেছে ক্রেতার সংখ্যা। রমজানে ফলের দাম নাগালে রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতারা। বরিশালে দেশি ফলের সরবরাহ ভালো থাকলেও তার দামও এখন বাড়তি। তবে আনারস, কলা, পেয়ারা, আর বরইয়ের দাম কিছুটা কম। রোজায় দাম নাগালে রাখতে সরকারের বাজার মনিটরিং বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন সচেতন মহল।
পাইকারি থেকে শুরু করে খুচরা বাজারে ফলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে বেচাবিক্রি। বিশেষ করে বিদেশি ফল সবুজ আঙুর ৪৫০ টাকা, কালো আঙুর ৫০০,আনার ৪০০ থেকে ৫০০,নাশপতি ৩৮০-৪৮০ আপেল প্রকারভেদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কমলা দেশি ২৮০ থেকে ৩০০ ও বিদেশি ৩০০ থেকে ৩৫০, ও মাল্টার ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় উঠানামা করায় এ সকল ফল ক্রয় করা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। আর বিভিন্ন নামে-বেনামের খেজুরের দামও উর্ধ্বমুখী। অবশ্য ব্যবসায়ীদের দাবি, খেজুরের দাম কমেছে। কিন্তু বাজারে বস্তার খোলা চাপা খেজুরও ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ভালো মানের খেজুর ৪০০ টাকার নিচে মিলছে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
জিহাদ হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, রোজার আগে থেকেই ফলের দাম বেশি। চাইলেই এখন ফল কেনা সম্ভব না। সন্তানদের চাইলেও ভালো ফল কিনে খাওয়াতে পারি না। অন্য এক ক্রেতা রহমান শরিফুল বলেন, এখন সব ফলের দামই বেশি। রোজার আগেই ফলের দাম বেড়ে গেছে। আমরা যারা সাধারণ ক্রেতা আছি তাদের পক্ষে ফল কিনে খাওয়া সম্ভব না। রোজায় সবাই একটু ফল খেতে চায়। কিন্তু তা তো সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য সরকারের উচিত বাজার মনিটরিং করে নিয়ন্ত্রণে আনা।
বরিশালের ফলের বাজারে মরিয়ম খেজুর ১১০০-১৩০০, মেজজুল ১২০০- ১৭০০, শুক্কারি ৯৫০, ইরানি ৮০০, সুকড়ি ৭৫০, লুলু ৬২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খেজুরের দাম কমেছে বলে দাবি ফল আড়তদারদের।
বিদেশি ফলের দাম বাড়ার জন্য শুল্ক বাড়ানোকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বিদেশি ফলে শুল্ক বাড়ানোর কারণে দাম বেড়েছে। পাশাপাশি ফলের ক্রেতাও কমেছে। ফলের পাইকারি বিক্রেতা মো. সাজ্জাদ কবির বলেন, বিদেশি ফলে অতিরিক্ত কর আরোপ করায় দাম বেশি। ফলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতার সংখ্যাও কমে এসেছে। আমরাও চাই দাম নিয়ন্ত্রণে থাকুক। ফলের পাইকারি বিক্রেতা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ফলের ওপর শুল্ক বাড়ানোর পর আমরা আন্দোলন করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। দাম বাড়ার কারণে ফলের ক্রেতা কমেছে। বেশি দাম হওয়ায় কেউ ফল কিনছে না। তিনি আরও বলেন, আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে ফল কিনি। সেখান থেকে বাড়তি দামে কিনে আনতে হয়। আমরা সবকিছুর খরচ বাদ দিয়ে স্বল্প লাভে ব্যবসা করি। এদিকে খুচরা ফল বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে তারা ফল কিনে আনেন। গত এক মাস ধরে বিদেশি সব ফলের বাজার বাড়তি। সামনে মাল্টার দাম আরও বাড়তে পারে। খেজুরের দাম কমলেও খুচরা বিক্রেতারা এখনও তা হাতে পাননি।
Post Comment