পাথরঘাটায় প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট
পাথরঘাটা প্রতিবেদক ॥
বরগুনার পাথরঘাটায় শিরিন আক্তার নামে এক নারীকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামী সুজন সরদার সেলিমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর সালিশ ডেকে ১৮ লাখ টাকা দাবি করেন ওই স্বামী। বুধবার দুপুর ১ টার দিকে লিখিথ অভিযোগের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ভুক্তভোগী নারী।
লিখিত বক্তব্যে শিরিন আক্তার জানান, ২০০১ সালে কাকচিড়া ইউনিয়নের সিংড়া বুনিয়া গ্রামের আব্দুর রব সরদারের ছেলে সুজন সরদার সেলিমের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুজন শিরিন আক্তারের কোন খোঁজ খবর রাখেননি। এরই মধ্যে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। সংসারের কোন খোঁজ-খবর না রাখার কারণে শিরিন আক্তার ২০১৬ সালে পাড়ি দেন ওমানে। সেখানে তার আয়ের টাকা স্বামীর কাছে পাঠান যাতে দেশে থাকা দুই সন্তানের ঠিকমতো খোঁজ খবর রাখে। কিন্তু স্বামী সন্তানদের কোন খোঁজ খবর না রাখায় টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিলে স্ত্রীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে সন্তানদের উপির শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন সেলিম। গত ৪ এপ্রিল দেশে এসে স্বামীকে রেজিস্ট্রি করে তালাক দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১০ এপ্রিল রাতে সুজন সরদার সেলিম তার দলবল নিয়ে বাড়িতে হামলা করে ২ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৫০ হাজার লুট করে নিয়ে যান। সালিশ মীমাংসায় বসলে সেখানেও ১৮ লাখ টাকা দাবি করেন। এ ঘটনায় শিরিন আক্তার পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।
শিরিন আক্তারের মেয়ে রুমি আক্তার জানান, তার মা প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই তার বাবা তাদেরকে শারীরিক এবং মানসিক কষ্টের মধ্যে রাখত। বাবা খোঁজ খবর না নেয়ায় তাদেরকে নানার বাড়িতে থাকতে হয়েছে। এখন তার মা বিদেশ থেকে আসার পরেও তাকে বিভিন্ন রকমের হয়রানি করছে। আমরা এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আল আমিন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশের মাধ্যমে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুজন সরদার সেলিম বলেন, আমি কোন চাঁদা দাবি করিনি। যখন প্রবাসে গেছে তখন যে টাকা দিয়েছি সেই টাকা ফেরত চেয়েছি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, সম্প্রতি ৯৯৯ থেকে আমাদেরকে জানান হয়‘ এক নারীকে মারধর করছে। ঘটনা শোনার পরেই পাথরঘাটা থানা পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।
Post Comment