বরিশালে সেনা সদস্যকে মারধরের ঘটনায় আটক ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বরিশালে নদীতীরে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গিয়ে হামলা এবং মারধরের শিকার হয়েছেন সোহানুর রহমান সিফাত নামে সেনা বাহিনীর এক সদস্য। মঙ্গলবার রাতে কথা কাটাকাটির জেরে স্টেডিয়াম কলোনীর পেছনে ত্রিশগোডাউন এলাকার বশিরের সিঙ্গারা পয়েন্টের সম্মুখে ৮/১০ যুবক তাদের দুটি মোটরসাইকেল আটকে মারধর করেছে। এবং একটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে সন্ত্রাসীর একজন বাপ্পি তার বাসার সামনে আটকে রাখে।
কোতয়ালি পুলিশ জানিয়েছে, সাদা পোশাকধারী সেনা সদস্য এবং তার বন্ধুকে মারধরের ঘটনায় বুধবার অন্তত ৫ জনকে আটক করে দিয়েছে। পাশাপাশি সেনা সদস্য সিফাতের মামলায় নামধারী ৫জনসহ মোট ১০ সন্ত্রাসীকে অভিযুক্ত করা হয়। আটক ৫ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠালে বিচারক কারাগারে প্রেরণ করেন। এই মামলার তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল।
পুলিশ কর্মকর্তা এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, ১৫ এপ্রিল রাতে সেনা সদস্য সিফাত (২২) তার দুই বন্ধুকে নিয়ে দুটি মোটরসাইকেযোগে মোট তিনজন শহরের ১১ নং ওয়ার্ডের ত্রিশগোডাউন এলাকার বশিরের সিঙ্গারা পয়েন্টের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেখানে পৌছানোর আগেই হর্ন বাজানোর কেন্দ্র করে স্টেডিয়াম কলোনীর ত্রাস আল-আমিন বাহিনীর সন্ত্রাসীদের সাথে তর্কাতর্কি হয়। এর একপর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসী বাপ্পির নেতৃত্বে শাহাদত হোসেন বাপ্পিসহ ৮/১০ জন তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে এবং এলোপাতাড়ি পিটুনি দিতে শুরু করে। এতে সেনা সদস্যসহ তার দুই বন্ধু আহত হলে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পর সেনা বাহিনী স্টেডিয়াম কলোনীতে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী আল-আমিন বাহিনীর অন্যতম সদস্য রিপন আকন (১৯), শাহাদাত হোসেন বাপ্পি, রিপন হাওলাদার (৪৭), আরাফাত হাওলাদার (২৮) এবং সজিব হাওলাদারকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে। সেনা সদস্যর মামলায় তাদের ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান জানান, সেনা সদস্যকে মারধরের মামলায় এখনও ৫ অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।’
Post Comment