প্রক্সি দিতে গিয়ে দুই সন্তানের জননী আটক
ভোলা প্রতিনিধি ।।
ভোলার লালমোহন উপজেলায় দাখিল পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে দুই সন্তানের জননী আকলিমা বেগম নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘন্টা খানেক পর লালমোহন কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাখিল মাদরাসা কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মো. শাহে আলম তাকে আটক করেন।
এদিকে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ৬ শিক্ষককে দায়িত্বে অবহেলা ও বিনা অনুমতিতে কেন্দ্রে প্রবেশের দায়ে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার গজারিয়া গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৪ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রক্সি দিতে এসে আটক হওয়া আকলিমা বেগম উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছিদ্দিক মিয়ার মেয়ে এবং লালমোহন সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক মো. সিরাজ পাটওয়ারীর স্ত্রী।
সংস্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষার গণিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় লালমোহন কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলার তোরাবগঞ্জ বালিকা দাখিল মাদরাসার মুক্তা বেগম নামে এক পরীক্ষার্থীর স্থলে প্রবেশপত্র নকল করে প্রক্সি দিতে আসেন আকলিমা বেগম। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘন্টাখানেক পর কেন্দ্রের দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার মো. শাহে আলম তাকে আটক করেন। সাথে সাথে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে প্রক্সি দিতে আসা ওই নারীকে আটক ও তার বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।পাশাপাশি লালমোহন কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে অবহেলা ও বিনা অনুমতিতে কেন্দ্রে প্রবেশের দায়ে ৬ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, প্রক্সি দিতে গিয়ে যিনি আটক হয়েছেন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলা ও বিনা অনুমতিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করায় ৬ শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন এ বছরের অন্য কোনো পরীক্ষায় কেন্দ্রে কোনো ধরনের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। অপর একজন শিক্ষক আগামী ৩ বছরের জন্য কোনো পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এছাড়াও গজারিয়া গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ৪ পরীক্ষার্থীকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিস্কার করা হয়েছে। আমরা নকলমুক্ত পরিবেশে একটি সুন্দর পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
Post Comment