বরিশালে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
‘বরিশাল নগরীতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ফাঁকা ঘরে ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) নগরীর রুপাতলীর গ্যাস্টারবাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির বাবা মোঃ জুলহাস অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরীব অসহায় মানুষ। আমি ঢাকায় রিক্সা চালিয়ে কোন মতে সংসার চালাই। তাতে আমার সংসার চলে না। এর জন্য আমার স্ত্রী ও মেয়ে বিভিন্ন বাসায় কাজ ও ভিক্ষা করেন। এই সুবাদেই আমার মেয়ে জসিম খানের বাসায় যেত। কিন্তু শনিবার বিকালে আমার বাসা থেকে মেয়ে ছদ্মনাম পাখিকে জসিম তার স্ত্রী বেড়াতে যাবে বলে মেয়েকে একটি স্মার্ট ফোন দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন। মেয়ে জসিমের বাসায় গিয়েছে সে বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে জসিমের বাসায় গেলে তিনি বলে আমার মেয়ে তার বাসায় আসেনি। জসিম খানের কথায় সন্দেহ হলে আমরা এলাকাবাসীকে ডেকে সাহায্য করতে বলি। এসময় স্থানীয়রা আমাদের ডাক চিৎকার শুনে তার বাসার সামনে জড়ো হলেও জসিম দরজা খুলেন নি। অনেক্ক্ষণ দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরে দরজা খুলেন। জসিম খানের কাছে আমার মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি আমার মেয়ে তার ঘরে আসেনি বলে অস্বীকার করেন। আমি তার ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে আমাকে বাধা দেন। আমি জোড় করে তার বাসার ভিতর প্রবেশ করে খোঁজাখুঁজি করে দেখি আমার মেয়ের মুখ বেধে অচেতন অবস্থায় ঢেকে রাখা হয়েছে। পরে জানতে পারি লম্পট জসিম তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় আমি কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত জসিম খান নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডস্থ খান সড়ক এলাকার বাসিন্দা মৃত কুদ্দুস খানের ছেলে।
এবিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, নগরীর রুপাতলী গ্যাস্টারবাইন খান সড়ক এলাকায় শিশু ধর্ষণের বিষয় শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে শিশুকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটানায় শিশুটির বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত জসিমকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নি।
Post Comment