Loading Now

৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজি বলতে পরেনা বাংলাতেও পিছিয়ে!

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

জীবনের প্রয়োজনে চাই শিক্ষা, সংকটকালেও সুরক্ষিত চাই শিক্ষা এই স্লোগানে শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল অ্যাকশন সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেইন্ট বাংলাদেশ ও গনসারতা অভিযান উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) সেইন্ট বাংলাদেশ প্রশিক্ষন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হাসান, বিশেষ অতিথি বরিশাল সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিথিকা সরকার, অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফয়সাল জামিল, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ। সেইন্ট বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শুভর নির্বাহী পরিচালক শুভংকর চক্রবর্তী, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত, হাছিনা বেগম নীলা, আনিসুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম টিটু, অভিভাবক ও ছাএ ছাএী সহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেনীর নেতৃবৃন্দ। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেইন্ট বাংলাদেশের পরিচালক মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, আলোচনা পএ উপস্থাপন করেন সেইন্ট বাংলাদেশর নির্বাহী পরিচালক আহসান মুরাদ চৌধুরী,

মানসম্মত শিক্ষায় এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। কোনো বাঁধাই শিক্ষাকে থামিয়ে দিতে পারবে না, তরা প্রধান উদাহরন করোনাকালে স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল কিন্তু অনলাইনে, বাড়িতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করতো, মূলত এমন বিষয়গুলোই সংকটকালের শিক্ষা। তিনি আরও শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বর্তমানে শিকার মান নজুক। প্রাথমিকে শিশুদের এমন ভাবে পাঠদান করাতে হবে যাতে করে ওই সকল শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পর্যায়ে গিয়েও ভালো ফলাফল করতে পারে। দেখা যাচ্ছে ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বলতে পরেনা। সঠিক বাংলা ও বলতে পারে না অনেকে। তাদের বাংলা ইংরেজি দুইটাই শিখতে হবে। একই সাথে পড়ালেখার যে মজা তা শিক্ষার্থীদের দিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের শুধু বই পড়ে শিক্ষা অর্জন করলে চলবে না। সাথে সাথে নৈতিক শিক্ষাও অর্জন করতে হবে। পাশের মান বাড়ালে চলবেনা সাথে শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। যার যেখানে বাড়ি এক কথায় এলাকা দেখে চাকরি দিতে হবে। কারন এক এলাকা দিয়ে অন্য এলাকায় যেতে সময় লাগে অনেক। সে ক্ষেত্রে সঠিক পাঠদান করাতে পারে না শিক্ষকরা। প্রাথমিক পর্যায় শিক্ষক নির্বাচন করতে হবে যারা ধৈর্য সহকারে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা দিতে পারবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ অনেক বেশি, তাই প্রতি বছর শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে সরকার। সব মিলিয়ে শিক্ষার মান বাড়াতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তানা হলে জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।

 

অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশীজনরা তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অভিভাবক সমাবেশেকে আরও গুরুত্ব দেয়া,শিশুশ্রম বন্ধ করা, বাল্যবিবাহ রোধে অভিভাবক সভা করা, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করা, শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা, যুগোপযোগী ও মানসম্মত কারিগরি শিক্ষায় বেশি নজর, গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা, সরকারি ভাবে স্কুলগুলোতে ড্রেস, কেডস, খেলার সামগ্রী ,পানির বোতল বরাদ্দ রাখার জন্য সুপারিশ করেন।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED