বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুল হকের খুঁটির জোর কোথায়
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
লোকোমুখি শোনা যাচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠভাজন পরিচয় দিয়েই নাজিমুল নানা অপকর্ম ও দুর্নীতির আধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছে। আসলেই কি তারেক রহমানের সাথে নাজিমুলের ঘনিষ্ঠতা আছে নাকি তারেক রহমানের নাম বিক্রি করে বিএনপি দলের মান সম্মান ক্ষুন্ন করছে এই দুর্নীতিবাজ তদবির ও বদলি বাণিজ্যকারী বরিশালের অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি নাজিমুল হক?
বরিশাল বিভাগের জাতীয়তাবাদী দলের অনেক নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন অবশ্যই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর সাথে এই দুর্নীতিবাজ অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুলের কোন সম্পর্ক নেই।নাজিমুল মিথ্যা ও বানোয়াট সম্পর্কের কথা প্রকাশ করে তার স্বার্থ হাসিল করেছেন বলে দাবি করেন তারা।তারা আরো বলেন আপনারা এই দুর্নীতিবাজ অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুলের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে আমরা এই সংবাদ আমাদের নেতা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পৌঁছে দিব। তারপরে নাজমুল বুঝবে কত ধানে কত চাল।
সম্প্রতি রিক্রুটিং কনস্টেবল পুলিশ নিয়োগে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপার দের অনৈতিকভাবে রিক্রুটিং কনস্টেবল পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করতে শোনা যায় বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুলের বিরুদ্ধে। তবে নাজিমুলের নিয়োগ সুপারিশ এর ব্যাপারে বরিশাল রেঞ্জের কোন পুলিশ সুপার সরাসরি প্রতিবেদককে বলেননি। কিন্তু নাজিমুল যে সুপারিশ করেছেন অনুসন্ধানে তার সত্যতা বেরিয়ে আসছে।
কয়েক মাস পূর্বে বরিশাল মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জের আলোচিত ড্রেজার ডাকাতির বিষয় পিস্তল মহিউদ্দিনকে স্থানীয়রা গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশে দিলে তখন নাজিমুল সরাসরি পিস্তল মহিউদ্দিন এর পক্ষে সুপারিস করেছেন বরিশাল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদেরকে যার সত্যতার প্রমাণ মিলেছে অনুসন্ধানে।
উপরোক্ত বিষয় ছাড়াও পূর্বে নাজিমুলের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিষয় যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল তার কিছু ফিরিস্তি সরাসরি তুলে ধরা হলো।
বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুল হক দৈনিক মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেল্টার দিচ্ছে বালু মহলের এক অংশকে।যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বরিশাল বিভাগ সহ সারা বাংলাদেশে।বালু মহল নিয়ে নাজিমুল হক বরিশাল প্রশাসনের কাছে তদবির করেছেন যা ইতোমধ্যে প্রকাশ পাওয়া শুরু করেছে।
বরিশালে বদলি বাণিজ্যের শীর্ষে আছে অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুল হক। বরিশাল শহ সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি দপ্তরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে নাজিমুল হক তদবির ও বদলি বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দাপটের সাথে।
টাকা নিয়ে কনস্টেবল সহ সকল পুলিশ অফিসারদেরকে তদবির করে বদলি করে অতিরিক্ত ডিআইজি নাজমুল হক। পুলিশের উর্ধতম কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে সকল বদলি বাণিজ্যের তদবিরের সত্যতা।
বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুল হকের মূল বাড়ি পিরোজপুরে কিন্তু পুলিশে চাকুরি নিয়েছিল খুলনার ঠিকানা দিয়ে। নাজিমুল হক পিরোজপুর নিজ জেলায়ও চাকুরি করেছেন তখন তিনি পিরোজপুরে ইনসার্ভিস পুলিশ সুপার ছিলেন।নাজিমুল হকের বাড়ি পিরোজপুর হওয়ায় বরিশাল বিভাগের অনেকের সাথেই পূর্ব পরিচিত। তাই তাদেরকে সেলটার দিতে সুবিধা হয় নাজিমুলের।
বরিশাল বিভাগের বড় বড় সকল টেন্ডারে এবং বদলি বাণিজ্যে বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুল হকের তদবির রয়েছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি দপ্তরের প্রধানের সাথে কথা বললে তারা বরিশালের অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুল হকের টেন্ডার বাণিজ্য ও বদলির তদবিরের কথা স্বীকার করেন।
বর্তমানে চলমান পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজির রয়েছে প্রায় একশত কনস্টেবল নিয়োগ প্রার্থী যাহা বিভিন্ন গোপন তথ্য সূত্রে জানা যায়।
সকল সরকারি দপ্তরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বরিশালের অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি নাজিমুল হকের বদলি ও তদবির বাণিজ্যে অতিষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা।সেই সাথে দলের চরম বদনাম হচ্ছে বলে ধারণা করছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তারা।
বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুল হকের অনিয়ম—দুরনীতির ও বদলি বাণিজ্যের বিষয় বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজিকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুল হককে তার সকল অনিয়ম দুর্নীতি ও বদলি বাণিজ্যের বিষয় ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি তাই তার কোন বক্তব্য দেওয়া গেলো না।
বর্তমান সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে বরিশাল রেঞ্জ অফিসের অতিরিক্ত ডিআইজি নাজিমুল হককে বরিশাল রেঞ্জ অফিস থেকে অপসারণ করার।
বরিশাল বিভাগের বিএনপির অনেক নেতা কর্মী ও জামাত ইসলামের নেতাকর্মী এবং সচেতন মহলের একাধিক ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন নাজিমুল হককে বরিশাল রেঞ্জ অফিস থেকে অপসারিত না করা হলে বরিশাল রেঞ্জ অফিস একটি দুর্নীতিবাজের অভয় আশ্রম হিসেবে পরিচিত হবে শীঘ্রই। তাই তারা বরিশাল থেকে তাকে দ্রুত অপসারণ চায়।সেই সাথে তারা আরো দাবি করেন প্রধান উপদেষ্টা, সররাষ্ট্র উপদেষ্টা, সরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি যাতে এই দুর্নীতিবাজ অফিসরের তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
Post Comment